নিজস্ব প্রতিনিধি: মেলা শুরুর আগে প্রতিবছর তিনি যান মেলা পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে। প্রতি বছর সেখান থেকে কেন্দ্রকে আবেদন জানান মেলাকে জাতীয় মেলার(National Fair) স্বীকৃতি দিতে। কিন্তু কোনওবারই তাতে কর্ণপাত করেনি কেন্দ্রের সরকার(Government of India)। পাশাপাশি মেলার আয়োজনের জন্য কেন্দ্র সরকার আজ পর্যন্ত ১ পয়সাও রাজ্যকে দেয়নি। সেই নিয়েও একাধিকবার সরব হয়েছেন তিনি। কিন্তু সুরাহা কিছুই হয়নি। এদিনও তিনি সরব হলেন সেই গঙ্গাসাগর মেলা(Gangasagar Mela) নিয়ে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, এই বছর রাজ্য সরকার(West Bengal State Government) ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করেছে। সেই সঙ্গে সেই মেলায় ৯ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত আগত পুণ্যার্থীদের জন্য থাকছে মাথাপিছু ৫ লক্ষ টাকার বিমা। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
এদিন তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি দ্বীপের উপর গঙ্গাসাগর অবস্থিত। জল পেরিয়ে প্রত্যেকটা মানুষকে যেতে হয়। এক কোটি লোক সেখানে যাতায়াত করেন। সংখ্যাটা যদি বছরের হিসেবে ধরা হয়, তাহলে তো অনেক। গত বছরও আশি লাখের ওপর মানুষ এসেছিলেন। এবছরও আমাদের ধারণা, যেহেতু কুম্ভ নেই, সংখ্যাটা এক কোটির উপর ছাপিয়ে যাবে। কুম্ভ মেলা তো অনেক দিন পর পর হয়, প্রতি বছর হয় না। কিন্তু গঙ্গাসাগর প্রতি বছর হয়। কুম্ভমেলা স্বীকৃতি পেয়েছে আমরা খুশি। তারা যদি সাহায্য পেতে পারে, বাংলা কেন সাহায্য পাবে না? গঙ্গাসাগর মেলায় আমরা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা এবারও খরচ করেছি। বাংলার মেলা কেন জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পাবে না? সেই নিয়েও আজ আমি চিঠি পাঠিয়েছি।’ এর পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন রাজ্যের ধর্মীয় তীর্থকেন্দ্রগুলিকে ঘিরে যাতে পর্যটন শিল্পের প্রসার হয় তার জন্য তাঁর সরকার প্রভূত অর্থ ব্যয় করেছে নানা তীর্থস্থানের জন্য।
তিনি জানান, ‘বিভিন্ন তীর্থস্থানকে কেন্দ্র করে উন্নয়নের জন্য আমরা ৭০০ কোটি টাকার ওপর খরচ করেছি। কালীঘাট মন্দির শুধু রিলায়েন্স একা করছে না। ওনারা শুধু সোনার চূড়াটা করছেন। আর ভিতরের কিছু অংশের কাজ করছেন। আমরা ১৬৫ কোটি টাকা খরচ করেছি। ওদের খরচটা হল ৩৫ কোটি টাকা। কীভাবে হকারদের সরিয়ে, তাঁদের অ্যাডজাস্ট করে কাজটা করা হচ্ছে সেটা একটু দেখে আসুন! দিঘায় হিডকো জগন্নাথ ধাম করছে। এটাতেও আমরা ২০৫ কোটি টাকা খরচ করছি। এছাড়া কচুয়া-চাকলায় ৯ কোটি ও ১৫ কোটি টাকা দিয়েছি। ইসকেন জন্য ৭০০ একর জমির অনুমতি দিয়েছি আমরা। তারকনাথ মন্দির, মাহেশের উন্নতি করেছি আমরা। তারাপীঠের উন্নয়ন করা হয়েছে। ফুল্লরা মন্দিরের জন্য ১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রস্রবণেও টাকা দেওয়া হয়েছে। জল্পেশ শিব মন্দিরের জন্য ৩১.৭ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।’