এই মুহূর্তে




পুরো হাসপাতাল জ্বালিয়ে রোগীদের পুড়িয়ে মেরে ফেলা ছিল উদ্দেশ্য

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: মারাত্মক অভিযোগ সামনে চলে এল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মধ্যরাত্রে যারা কলকাতার(Kolkata) আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(R G Kar Medical College and Hospital) হামলা চালিয়েছে, তাদের মুখ্য উদ্দেশ্যই নাকি ছিল পুরো হাসপাতাল জ্বালিয়ে রোগীদের পুড়িয়ে মেরে ফেলা। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি পুলিশের উপস্থিতির জন্যই। কার্যত এদের এই হামলার ঘটনা ঠেকাতে গিয়েই কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে যান ঘটনাস্থলে। কার্যত বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে(Bangladesh Reservation Movement) যে ভাবে একের পর এক থানা, বাড়ি, হোটেল ও শপিং মলে আগুন লাগিয়ে জীবন্ত অবস্থায় বহু মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় গতকাল রাতে আর জি করে হামলা চালানোর ছক কষা হয়েছিল। অন্তত পুলিশের একাংশের এখন এমনটাই দাবি। শুধু তাই নয়, হাতে তরোয়াল, রড, লাঠি, বাঁশ নিয়ে আসা হামলাকারীরা হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশ্যে রীতিমত চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে হুমকি দিতে থাকে যে, ‘ওনাকে কেটে ফেলুন মেরে ফেলুন।’ সূত্রের দাবি, হাসপাতালের বেশ কিছু সিসিটিভিতে সেই সব ধরাও পড়েছে।

আরও পড়ুন, আর জি করে হামলা চালালো কারা, প্রশ্ন ঘুরছে স্বাধীনতার সকালে, পুলিশের হাতে আটক ৯

এদিকে এদিন সকালে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের তরফে বুধবার মধ্যরাতে আর জি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনার অভিযুক্ত কয়েক জনের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ‘সন্ধান চাই’ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ! বৃহস্পতিবার সকালে সমাজমাধ্যমে(Social Media) ওই অশান্তির ঘটনার মোট ২৬টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বেশ কয়েক জন পুরুষ ও মহিলাকে লাল গোল দাগে চিহ্নিত করে তাঁদের সন্ধান চেয়েছে পুলিশ। সমাজমাধ্যমে ওই পোস্টে লেখা হয়েছে— ‘সন্ধান চাই: নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।’ তারই সঙ্গে ইংরেজিতে লেখা বার্তা— ‘যে কেউ নীচের ছবিতে লাল রঙে বৃত্তাকার ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারেন। সরাসরি আমাদের কাছে বা আপনার স্থানীয় থানার মাধ্যমে তা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’ একই সঙ্গে অনান্য নানা সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিওর জেরে সামনে এসেছে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের অনেকের হাতেই DYFI’র পতাকা ছিল। সেই সূত্রেই জানা যাচ্ছে, পুলিশ যাদের ছবি এদিন প্রকাশ করেছে তারা বাম ছাত্র সংগঠন DYFI’র সদস্য।

আরও পড়ুন, আর জি কর যেন যুদ্ধের ময়দান, তাণ্ডবে কার্যত ধ্বংস জরুরি বিভাগ

মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির মধ্যেই বুধবার মধ্যরাতে হামলা চালানো হয়েছিল আর জি কর হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরির বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালান একদল ব্যক্তি। তার পরেই সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়, হাসপাতালের চার তলায় ফুসফুস এবং বক্ষরোগ বিভাগের যে সেমিনার রুম থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়, সেটিতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই সংক্রান্ত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হল, ওই সেমিনার রুম ‘অক্ষত’ রয়েছে। তার পরেই গুজব এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য আইনি পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে লালবাজার। বুধবার মধ্যরাত থেকেই নেটাগরিকদের একাংশ ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করতে থাকেন, আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা যেখানে ঘটেছিল, সেই সেমিনার রুমে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে ওই পোস্টগুলিতে দাবি করা হয় যে, তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং তদন্তের কাজ ব্যাহত করতেই দুষ্কৃতীরা এমন কাজ করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা পুলিশের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ‘ভাঙচুরের’ দাবি এবং ভিডিয়ো সম্বলিত একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখা হয়, ‘অপরাধ সেমিনার রুমে হয়েছিল। আর সেই সেমিনার রুমকে ছোঁয়া পর্যন্ত হয়নি। যাচাই না করা খবর ছড়াবেন না। আমরা গুজব ছড়ানোর জন্য আইনি পদক্ষেপ করছি।’ 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নিল রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল

বুধবার সন্ধ্যায় নবান্ন’র সভাঘরে মুখ্য সচিবের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক

১০ বছরে সিবিআই ব্যর্থতা নিয়ে সরব অভিষেক, দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার পরামর্শ

বৈঠকে বসতে ফের মুখ্যসচিবকে ইমেল পাঠাল জুনিয়র চিকিৎসকেরা

ফের আক্রান্ত পুলিশ, বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে ট্র্যাফিক সার্জেন্টকে বেধড়ক মারধর

মেঘালয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের নাম সুপারিশ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর