নিজস্ব প্রতিনিধি: কড়া পুলিশি ঘেরাটোপ টপকে শনিবার রাতে কলকাতার(Kolkata) কালিঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাড়িতে শনিবার রাতে যে ব্যক্তি ঢুকে পড়েছিল রবিবার সকালে তাকে ধরে কালিঘাট(Kalighat) থানায় নিয়ে যায় পুলিশ(Police)। সেখান থেকে তাকে চালান করা হয় লালবাজারে। সেখানেই দফায় দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ আধিকারিকেরা। সেই সময় তার কথায় বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাকে গ্রেফতারও করা হয়। আর পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে মাও(Maoist) যোগ খুঁজে পেয়েছেন লালবাজারের আধিকারিকেরা। যদিও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কলকাতা পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে এই ঘটনার পরে রবিবার সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরঅ জোরদার করে তোলা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারনা, আদি গঙ্গার দিক থেকেই সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকেছিল ওই ব্যক্তি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানোর পরেও কীভাবে ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে না নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রীর জন্য জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা রয়েছে। বাড়ির চারিদিকেই থাকেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। ওই এলাকায় অনেক সিসিটিভি ক্যামেরাও রয়েছে। তারপরেও এইসব নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে ওই ব্যক্তি ঢুকে পড়লেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সব থেকে বড় বিষয় এর আগেও একাধিকবার সাম্প্রতিককালেই আদি গঙ্গার দিক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে অনেকেই আসার চেষ্টা করেছেন। যদিও সেই সব ঘটনা দিনের বেলায় ঘটে এবং সেই সব ক্ষেত্রে দ্রুত পুলিশ পদক্ষেপ করে। কিন্তু তারপরেও রাতের অন্ধকারে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ওই ব্যক্তি ঢুকে পড়ল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলে মাওবাদী ও নকশাল আন্দোলন তথা কার্যকলাপের কারনে গ্রেফতার হওয়া বেশ কিছু মানুষ রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বন্দী হিসাবে রয়েছেন। এদেরই পরিচিত ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়েন ওই সব বন্দীদের নিয়ে কথা বলার জন্য। যদিও লালবাজারে তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে এক একবার এক এক রকম কথা বলে। যদিও ওই ব্যক্তির কাছে কোনও অস্ত্র মেলেনি, তাই খুন করার উদ্দেশ্য নিয়ে সে এসেছিল বলে মনে করছেন না তদন্তকারীরা। তবে এই ঘটনার পিছনে আরও কে কে জড়িত সেটাই এখন খুঁজে দেখতে চাইছে পুলিশ।