এই মুহূর্তে




স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রাতে মহিলাদের কাজের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণবিধি প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: আর জি কর ঘটনার(R G Kar Incident) প্রেক্ষাপটে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government) ‘রাত্তিরের সাথী’ সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় জানিয়েছিল, মহিলা চিকিৎসক-সহ মহিলা কর্মীদের কাজের সময় ১২ ঘণ্টা অতিক্রম যেন না করে এবং যেখানে যত দূর সম্ভব মহিলাদের রাত্রের ডিউটি(Nigh Duty for Women) দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কিন্তু সেই বিধি নিয়ে নানান মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এমনকি সেই বিধি যথাযথ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল খোদ সুপ্রিম কোর্টও(Supreme Court)। এই পরিস্থিতিতেই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রাতে মহিলাদের কাজে যে ‘নিয়ন্ত্রণ’ আরোপ করে হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। লিখিত ভাবে রাজ্য জানিয়েছে, ‘রাত্তিরের সাথী’ সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় মহিলাদের ক্ষেত্রে যে দুটি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল সেই দু’টি নির্দেশ প্রত্যাহার(Withdrawal of Instructions) করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন, সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ৪

আর জি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে সেখানে গত শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, ‘রাজ্য প্রশাসন মহিলাদের বলতে পারে না যে তাঁরা রাতে কাজ করবেন না। মহিলারা কোনও ছাড় চাইছেন না। তাঁরা কাজের জায়গায় নিরাপত্তা চাইছেন। তাঁরা সমান সুযোগ চাইছেন। কী ভাবে এমন নির্দেশিকা জারি হতে পারে? মহিলা ডাক্তাররা সমস্ত পরিস্থিতিতে কাজ করতে চাইছেন। রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশিকা শোধরাতে হবে।’ দেশের প্রধান বিচারপতির সেই পর্যবেক্ষণের পরে পরেই মনে করা হচ্ছিল, রাজ্য সরকার খুব শীঘ্রই এই নিয়ন্ত্রণবিধি প্রত্যাহার করে নেবে। দেখা গেল শুক্রবার রাতে সেই বিধি প্রত্যাহার করে নিয়েছে নবান্ন।

আরও পড়ুন, রবি বিকালে উত্তরের পথে মমতা, শিলিগুড়িতে করবেন প্রশাসনিক বৈঠক

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতালের অধ্যক্ষ, সুপার, জেলা-ব্লক স্বাস্থ্যকর্তা, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে ‘রাত্তিরের সাথী’ সম্পর্কে সবিস্তার কথা হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই আদেশনামা কার্যকর করা হয়েছে। প্রশাসনিক বিশ্লেষকদের একাংশের যুক্তি, বর্তমান সময়ে ‘নাইট-ডিউটি’-এর নিরিখে মহিলা-পুরুষে বিভাজন করা অযৌক্তিক। নিরাপত্তা দেওয়া এবং তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের। ফলে মহিলাদের কাজের সময়ে এ ধরনের নিয়ন্ত্রণের অর্থ হয়— প্রশাসন সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। সম্ভবত সেই কারণেই এত দ্রুত সেগুলি প্রত্যাহার করে নিল নবান্ন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন খোলসা ধর্মতলায় ‘দ্রোহের কার্নিভালে’

রাজ্যে দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রিতে আবগারি দফতরের আয় বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ

রেড রোডের কার্নিভালে জনস্রোত, ডান্ডিয়া নাচে অংশ নিলেন মমতা

লক্ষ্মী পুজোয় শব্দ বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ বলে প্রচার শুরু পুলিশের

ধর্মতলায় ‘দ্রোহ কার্নিভালে’ অংশ নেওয়া জনতার গুন্ডামি, সুজিত বসুর গাড়িতে হামলা

হাসপাতাল ও স্কুলে ‘নিরাপত্তায়’ সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন নয়, রাজ্যকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর