নিজস্ব প্রতিনিধি: কোনও পক্ষের দাবি, ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আবার কোনও পক্ষের দাবি, কোনও ডেডলাইনই দেওয়া হয়নি। তার মাঝে এখন আবার দাবি করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টেই(Supreme Court) হবে চূড়ান্ত ফায়সলা। নজরে SLST-দের চাকরি। গতকালই স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা পদের চাকরির জন্য আন্দোলনরত SLST-দের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষও। SLST-দের প্রতিনিধি ও কুণালের দাবি মোটামুটি একই। ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটা সমাধান সূত্র বার হয়ে যাবে। যদিও ব্রাত্য জানিয়েছেন, কোনও ডেডলাইনই দেওয়া হয়নি। এই বিপরীত মতের মাঝেই সামনে চলে এসেছে সুপ্রিম কোর্টে SLST-দের মামলার শুনানি। আগামী ২ জানুয়ারি সেই মামলার শুনানি হতে পারে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চে।
জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে লিস্টিং হয়ে গিয়েছে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সুপার নিউমেরারি মামলার। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চে হবে সুপার নিউমেরারি মামলার(Numerary Case) শুনানি। আগামী ২ জানুয়ারি শুনানি হতে পারে এই মামলার। সুপ্রিম কোর্টের এই মামলার ওপরেই নির্ভর করছে SLST-দের চাকরির ভবিষ্যৎ। শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে কী কী যুক্তি দেখানো হয়, সেই দিকেই তাকিয়ে আইনজীবী মহল। SLST চাকরিপ্রার্থীদের(SLST Job Aspirants) চাকরি পাওয়ার পথে যাবতীয় জট কাটানোর জন্য গৎকালের বৈঠকের পরে পরেই রাজ্যের School Service Commission বা SSC’র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ও শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনকে বিশেষ দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা চাইছেন যাতে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই গোটা বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। সেক্ষেত্রে SSC’র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ও শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের আগামী দিনগুলিতে কী ভূমিকা থাকে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির আগেই যাতে আইনি জট কেটে যায়, তা নিশ্চিত করে চাইছে রাজ্য সরকার। শিক্ষাসচিব ও এসএসসি চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনে সবরকম আইনি সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, SLST নিয়োগের জট কাটাতে সরকার পক্ষ সুপার নিউমেরারি পদের তৈরি করেছিল প্রথমে। সেই মতো রাজ্যের ক্যাবিনেটের অনুমোদন ক্রমে সুপার নিউমেরারি পদও তৈরি করা হয়েছিল। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা জন্য ১২৮০টি শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল। এরপর এসএসসির তরফে কাউন্সেলিং করে সুপারিশপত্রও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আইনি জটে আটকে যায় সুপার নিউমেরারি পদ।