এই মুহূর্তে




বিদেশের বাজারেও এ বার মিলবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী শাড়ি

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের বাজারেও(Foreign Markets) এ বার মিলবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী ধনেখালি তাঁত আর জামদানি শাড়ি(Traditional Sarees of Bengal)। অনাবাসী বাঙালিদের আর কষ্ট করে কলকাতা এসে এখান থেকে শাড়ি কিনে তা বিদেশে বয়ে নিয়ে যেতে হবে না। এ ছাড়াও বাংলার গ্রামীণ শিল্পীদের বানানো বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী বিদেশের ড্রইংরুমে বসে অনলাইনেই অর্ডার করা যাবে। কার্যত বিদেশের বাজারে বাংলার পোষাক আর হস্তশিল্পকে জনপ্রিয় করতে ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যবস্থা করছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। নিয়োগ করা হচ্ছে Consultant-ও। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, ‘হস্তশিল্পের সঙ্গে রাজ্যের কয়েক লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে যুক্ত। তার মধ্যে একটা বড় অংশই মহিলা। হস্তশিল্পের প্রসার ঘটলে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। তা ছাড়া এর সঙ্গে বাংলার ঐতিহ্যও জড়িয়ে রয়েছে। তাঁকে বাঁচিয়ে রাখাটাও জরুরি।’

আরও পড়ুন, বয়সের কারণে বাতিল বাস চালাতে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

বাংলার রকমারি সব শাড়ি ছাড়াও উত্তর দিনাজপুরের ডোকরা, পূর্ব মেদিনীপুরের পটচিত্র, ঝাড়গ্রামের সাবাই ঘাসে তৈরি সামগ্রী, মালদার আম, আচার, আমসত্ত্ব, দার্জিলিংয়ের মোমবাতি, সাবান এবং সুগন্ধী তেল — কী নেই সেই তালিকায়! বিদেশে এই সব হস্তশিল্প সামগ্রীকে জনপ্রিয় করতে করে তাঁতী ও শিল্পীদের আয় বাড়ানোর রাস্তা খুলে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, বাংলার ঐতিহ্যবাহী জামদানি, ধনেখালির তাঁতের শাড়ি গুণমানের দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও বিদেশের বাজারে কল্কে পায় না। বাজার না-থাকায় হস্তশিল্পীদের আর্থিক হালও ফিরছে না। এই সব হস্তশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ মেনেই ভিন রাজ্য এবং বিদেশের বাজার ধরতে পদক্ষেপ করছে সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর, পেশাদার সংস্থাকে দিয়েই ধনেখালি তাঁত এবং জামদানি-সহ বাংলার লোকশিল্পীদের বানানো মোট ৭ ধরনের হস্তশিল্প সামগ্রীকে নতুন মোড়কে বাজারে নিয়ে আসা হবে। ‘সৃষ্টিশ্রী’ প্রকল্পে এই সব হস্তশিল্পের বিকাশ ঘটবে।

আরও পড়ুন, ১১২ ফুটের দুর্গা, অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জেলা শাসককে পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

এরই পাশাপাশি গ্রাম বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি সামগ্রীকে বিশেষ ভাবে প্রোমোট করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার জন্য অত্যাধুনিক মানের প্যাকেজিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সঙ্গে মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিং করা হবে। অনলাইন বিপণন ছাড়াও দেশ-বিদেশের বড় বড় বিমানবন্দর এবং রেল স্টেশনে সৃষ্টিশ্রীর আউটলেট খোলা হবে। বিদেশে যে সব বড় বড় Exhibition এবং মেলা হয়, সেখানেও বাংলার হস্তশিল্পের স্টল থাকবে। এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিদেশের টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক মানের সামগ্রী তৈরিতে হস্তশিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিপণনের জন্য Chain System তৈরি করা হবে। দেশ-বিদেশের নামকরা কয়েকটি বিপণনী সংস্থার সঙ্গেও গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে সরকার। একই সঙ্গে দেশের মধ্যে বেশ কিছু বড় বড় শহরে ‘বাংলার শাড়ি’র আউটলেটও খুলতে চায় রাজ্য সরকার। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হয়দরাবাদের মতো বড় বড় শহরে যেখানে বাংলার শাড়ির চাহিদা আছে সেখানে এই ধরনের আউটলেট খুলতে ইচ্ছুক রাজ্য সরকার।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগামী বছর কলকাতা বইমেলা শুরু হবে ২৮ জানুয়ারি

পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে ক্যানভাসে ছবি আঁকলেন মমতা

মমতার লড়াইয়ের ফল, বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিল মোদি সরকার

আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি কাণ্ডে এবার গ্রেফতার আশিস পান্ডে

পূর্ণ কর্মবিরতির পথ থেকে সরে আসুন জুনিয়র ডাক্তারেরা, পরামর্শ সিনিয়রদের

মাত্র হাজার টাকার বন্ডেই জামিন পেয়ে গেলেন রূপা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর