নিজস্ব প্রতিনিধি: এক চোরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। আর আরেক দল চোরের হানাদারির সাক্ষি থাকল বারুইপুরবাসী। পার্থ-অর্পিতাকাণ্ডে নয়া মোড়। কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার হবু সদর শহর বারুইপুর(Baruipur)। সেখানেই একটি বাগানবাড়ি ঘিরে জোর চর্চা চলছে রাজ্যবাসীর মধ্যে। কেননা বারুইপুর থানা এলাকার বেগমপুর(Begumpur) এলাকায় রয়েছে একটি বাগানবাড়ি যার নাম ‘বিশ্রাম’(Bisram Baganbari)। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেই বাড়িতে প্রায়শই নাকি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে(Arpita Mukhopadhay) সঙ্গে নিয়ে আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay)। সঙ্গে তাঁদের সঙ্গীরাও আসত। বাগানবাড়ির কর্মীদের দাবি, তাঁরা নাকি বিশ্রাম নিতে আসতেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ‘বিশ্রাম নিতে না ছাই, শুতে আসত দুইজনে।’ এই দাবি সত্যমিথ্যা যাচাই করা এখন আর সম্ভব নয়। তবে এটাও ঠিক, যা রটে তার কিছু তো ঘটে। এই বাগানবাড়িতে বাড়ি ছাড়াও আছে বাগান আর পুকুর। শীতকালে অনেকেই এই বাড়িতে পিকনিক করার জন্য ভাড়া নেয়। তবে বছরের বেশিরভাগ সময়টাই এই বাগানবাড়ি থাকত মন্ত্রী ও মন্ত্রী ঘনিষ্ঠের দখলে। সেখানেই কিনা বুধবার রাতে হানা দিল চোরের দল।
বুধবার সারাদিন সংবাদমাধ্যম গমগম করেছে অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা নিয়ে। বেলঘড়িয়ায় অর্পিতার বাড়ি থেকে ইডির আধিকারিকেরা বুধবার যে সম্পদ পেয়েছেন তা কার্যত চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্টকর। উদ্ধার হয়েছে নগদ ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ও ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা ও রূপোর বাট, কয়েন ইত্যাদি। দেশের বাতিল হয়ে যাওয়া নোটে আরও কয়েক হাজার টাকা মিলেছে। সেই খবর ঘিরে যখন গোটা বঙ্গ সরগরম ঠিক তখনই বুধবার মধ্যরাতে বেগমপুরের ওই বিতর্কিত বাগানবাড়ি ‘বিশ্রাম’-এ হানা দিল চোরের দল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১টা নাগাদ ৪জনের একটি দুষ্কৃতী দল ওই বাগান বাড়িতে ঢুকেছিল। তারা বাড়ির দরজার তালা ভেঙে জিনিসপত্র বের করে একটি চার চাকা গাড়িতে করে নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় বার হলে তাঁদেরকে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চোরের দল যত না আসবাব নিয়ে গিয়েছে তার থেকেও বেশি নথি নিয়ে গিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে স্থানীয় থানা থেকে কিছু জানানো হয়নি এখনও।