নিজস্ব প্রতিনিধি: কোভিডের ভ্যাক্সিনও কোনও বদল ঘটাতে পারলো না। বিশের রায়ই ফিরে এল একুশের বুকে। এ বছরও মণ্ডপের বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে হবে পুজোপ্রেমী মানুষদের। দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো মায় জগদ্ধাত্রী পুজোতেও এবারেও মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন না দর্শকেরা। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ গতবার ১৯ ও ২১ অক্টোবর যে নির্দেশ জারি করেছিলেন তাতেই এদিন সায় জানিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল এদিন আদালতে জানান, আদালত মন্ডপে নো-এন্ট্রি রাখার নির্দেশ দিলে রাজ্য সরকার তাতে কোনও রকম আপত্তি করবে না। ফলে মনে করা হচ্ছে এবারেও পুজো মণ্ডপ থাকছে দর্শকশূণ্য।
তবে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিলেও বা আদালত তাতে সায় জানালেও এই রায় এবারে খুব একটা ধাক্কা দেবে না পুজো উদ্যোক্তাদের। কেননা এমন রায় ও বিধিনিষেধ যে এবারেও আরোপিত হতে পারে সেটা আগেভাগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। তাই এবারে সবাই এমনভাবে মণ্ডপ করেছেন বা করছেন যাতে করে বাইরে থেকেই দর্শনার্থীরা মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শন করতে পারেন। সেই মতন করেই অনেকেই এবারে তাঁদের চিরাচরিত পুজো মণ্ডপের মুখ ঘুরিয়ে তৈরি করছেন বা প্রতিমার মুখ ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। বিশেষ করে কলকাতার বুকে এই প্রবণতা বেশ ভালই। আশেপাশের জেলাগুলিতে তো বটেই, রাজ্যের অনান্য অনেক এলাকাতেই এবারে প্রথম থেকেই প্রায় সব উদ্যোক্তারাই এই বিধিনিষেধ যে এবারেও আরোপিত হতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই মণ্ডপ নির্মাণে মন দিয়েছেন। তাই আগামী দিনে আদালতের নির্দেশ নেমে এলেও তা পুজোপ্রেমী মানুষকে ঘরবন্দি রাখতে পারবে বলে অনেকেই মনে করছেন না।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখেই এবারেও কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলারই শুনানি শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। সেখানেই আদালত রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছিল। পুজোর সময়ে তাঁরা কীভাবে ভিড় সামাল দেবেন, মণ্ডপ কীভাবে কোভিড মুক্ত রাখবেন সেই বিশয়ে রাজ্যের অভিমত জানতে চান বিচারপতি। সেখানেই রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, আদালত মন্ডপে নো-এন্ট্রি রাখার নির্দেশ দিলে রাজ্য সরকার তাতে কোনও রকম আপত্তি করবে না। এর থেকেই মনে করা হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট এবারেও দর্শকশূণ্য মণ্ডপ রাখার রায় দিতে পারে।