নিজস্ব প্রতিনিধি: হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক এবার দ্বারস্থ হলেন ডিভিশন বেঞ্চের। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন তাঁদের। আদালতে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন ঝাড়খন্ডের তিন বিধায়ক। প্রধান বিচারপতি বিধায়কদের আবেদন খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
হাওড়ার পাঁচলায় গত শনিবার ৪৯ লাখ টাকা-সহ ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় তদন্ত করছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। কিন্তু ওই তিন বিধায়ক এই মামলায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য সেই আবেদন খারিজ করেন। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন তিন বিধায়ক।
বৃহস্পতিবারের কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানির সময় বিধায়কদের তরফে আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা আদালতে বলেন, হাওড়ার পাঁচলা থানা এলাকায় ওই তিন বিধায়ককে ৪৮ লাখ টাকা-সহ গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তাঁদেরকে আয়কর বা কালো টাকা আইনে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্তভার সিবিআই কিংবা অন্য কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে দেওয়া হোক বলে আর্জি জানান বিধায়কের আইনজীবী। তিনি হাইকোর্টে আরও দাবি করেন, রাজ্য সরকার এই তদন্তভারকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে। যদিও বিধায়কের আইনজীবীর সেই দাবি খারিজ করে দেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। এরপর এবার সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য হাওড়ার পাঁচলায় গত শনিবার ৪৮ লাখ টাকা-সহ গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়ককে। ওই ৩ কংগ্রেস বিধায়ক ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার চক্রান্ত করছিলেন বলে অভিযোগ। আর সেই কারণে তাঁরা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করেন। এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছিলেন সিদ্ধার্থ মজুমদার নামে দিল্লির এক বাসিন্দা। সিদ্ধার্থ মজুমদার নামের ওই ব্যক্তির খোঁজে দিল্লি গিয়েই সেখানে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন রাজ্য সিআইডির গোয়েন্দারা।