নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে বঙ্গবাসী, আর এবার পুরনির্বাচনে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। বিজেপিকে ঘিরে এবার নিজেদের মুখপত্রে এমন বার্তাই দিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেদের মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে তৃণমূল জানিয়েছে, ‘সাম্প্রদায়িকতার বীজ বাংলার এই পূণ্যভূমিতে পোঁতার চেষ্টা করে চলেছে গেরুয়া শিবির। বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, শান্তি, সম্প্রীতি নষ্ট করতে কোনও কুসুর করেনি। কিন্তু ওরা ভুলে গিয়েছে ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতা। ধর্ম-বর্ণ-জাতির মিলনস্থল এই শহর। ক্ষণিকের তরে মানুষ দিকভ্রান্ত হয়েও মানুষ কিন্তু মানুষের পাশেই থাকে, জয় হয় মানবতার। পুরভোটেও অন্দরে অন্দরে বিষ ছড়ানোর প্রবল চেষ্টা অব্যাহত। কিন্তু মানুষ জানেন কোথায় তাঁরা নিরাপদ। মানুষ উন্নয়ন দেখেছেন নিজেদের জীবন দিয়ে। তাঁরা জানেন, শুধু সুখ-দুঃখেই নয়, কলকাতার উন্নয়ন তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরেই সম্ভব। মানুষ যেভাবে বিধানসভায় সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার ভোটেও তার পুনঃরাবৃত্তি হবে।’
তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলছে, কলকাতা পুরনিগমের ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৮টি ওয়ার্ডে তাঁরা জয়ী হবে। গোটা ৬ ওয়ার্ডে জয়ী হবে বিরোধীরা। যদিও শনিবার দক্ষিণ কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে কলকাতা পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিষ কুমার দাবি করেন যে এবারের পুরনিগম বিরোধী শূন্য হতে চলেছে। বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতা পুরনিগম এলাকার কোনও বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ী হতে পারেনি বিজেপি। তবে গোটা ১০-১২ ওয়ার্ডে তাঁরা এগিয়ে ছিল। কিন্তু পুরনির্বাচনের সময় পরিস্থিতি পুরো বদলে গিয়েছে। যে টানটান উত্তেজনার মধ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল তা যেমন এখন আর নেই তেমনি বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা, তার জনপ্রিয়তা এখন অনেক কমে গিয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের দলের অন্দরের সংগঠনেও ধস নেমেছে। সব থেকে বড় কথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বলেও কলকাতা পুরনিগমের সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি তাঁরা নির্বাচনী ফলাফলে মুখ থুবড়েও পড়ে তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।