নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির নেতাজিপ্রেম যে একটা ভাঁওতাবাজি আর রাজনীতির গিমিক ভিন্ন কিছুই নয়, সেটা এতদিনে বাংলা ও বাঙালিরা বেশ ভালই দেখে নিয়েছেন, চিনে নিয়েছেন, বুঝে নিয়েছেন। একুশের ভোটের আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছুটে এসেছিলেন কলকাতায় ২৩ জানুয়ারিতে। গিয়েছিলেন এলগিন রোডে নেতাজির বাসভবনেও। কিন্তু ভোট মিটতেই, গো হারান হারতেই, বিজেপির নেতাজিপ্রেমও উধাও হয়ে গিয়েছে। সেই বিজেপির হাতে থাকা কেন্দ্র সরকারও যে নেতাজিপ্রেম নিয়ে দেশবাসীকে ভাঁওতা দিচ্ছে সেটা এবার দেখতে পাচ্ছেন দিল্লিবাসী, দেশবাসী। সৌজন্যে দিল্লির রাজপথে নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনার পাশাপাশি সেই স্থানটি নিষ্প্রদীপ হয়ে থাকাও। এই ঘটনাকেই শুক্রবার বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের মুখপত্রের সম্পাদকীয় স্তম্ভে তুলে ধরে কেন্দ্র সরকারকে তীব্র কটাক্ষ হানল।
এদিনের ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয় বিভাগের সম্পাদকীয় স্তম্ভে ‘নেতাজিপ্রেম’ শীর্ষক লেখায় ছত্রে ছত্রে কেন্দ্র সরকারের নেতাজিপ্রেম নিয়ে তীব্র কটাক্ষ হানা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণই বলে দিচ্ছে নেতাজি নামটিকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। দিল্লির বুকে বিগত ৪৮ ঘন্টা ধরে যা হল তা ভারতের লজ্জা, দেশপ্রেমিকদের লজ্জা। অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে ঘটা করে নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি ইন্ডিয়া গেটের সামনে বসিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিরোধীদের সমালোচনার জেরে যে মূর্তি বসানো হয়েছিল, তা হলোগ্রামই প্রমাণ করে দিচ্ছে। তাড়াহুড়োয় এবং বিরোধীদের জবাব দিতে আস্ত মূর্তি তৈরি করাই যায়নি। বসল হলোগ্রাম। আর বসার ১০ দিনের মাথায় নেতাজি মূর্তি ভ্যানিশ। বাংলার মানুষের নেতাজিপ্রেম থাকাটা স্বাভাবিক। আবেগের বিষয়। নেতাজিপ্রেম-টেম সবটাই কেন্দ্রের কাছে রাজনীতি। কখনও রামমন্দির, কখনও সীমান্তে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, কখনও ৩৭০ ধারা আবার কখনও নেতাজি মূর্তি। এর সঙ্গে দেশের শাসকদলের বিন্দুমাত্র আবেগ জড়িয়ে নেই। হিসাব করে রাজনৈতিক ভাবে পা ফেলা।’