এই মুহূর্তে




বাবুলের দলবদলে চাপে অধিকারীরা! তৃণমূল চাইছে ইস্তফা




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাবুল সুপ্রিয়’র দলবদলের জেরে এখন বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদ। মানে শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। কেননা তাঁরা দুইজনই তৃণমূলের সাংসদ হিসাবে কাঁথি ও তমলুক থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরে দুইজনই তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে গেরুয়া শিবির ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এখন তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের কার্যত কোনও যোগাযোগ বা সম্পর্কই নেই। তবে দুইজনই বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেন বলে তৃণমূলের দাবি। এই অবস্থায় বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে এসে তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিতে চাইছেন। কেননা তিনি সাংসদ হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী হিসাবে। এখন বাবুল যেহেতু তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিতে চান তাই তৃণমূলও এখন চাপ বাড়াচ্ছে অধিকারীদের ওপরে। তাঁদের দাবি, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন শিশির ও দিব্যেন্দুও।

বাবুল ২০১৪ সালে আসানসোল থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে জিতে প্রথমবারের জন্য সাংসদ হন। হয়েছিলেন কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রীও। ২০১৯ সালের ভোটেও জয়ী হন বাবুল। কিন্তু এবারেও তাঁকে প্রতিমন্ত্রী করে রাখেন মোদি। বাবুলকে তিনি পূর্ণমন্ত্রী করেননি। একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়লে বাবুলের মন্ত্রীত্বও কেড়ে নেনে মোদি। কার্যত সেই সময়েই বাবুল দিল্লিতে কেন্দ্র সরকারের বাংলো, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা, সাংসদ পদ, বিজেপির সদস্য পদ ও রাজনীতি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অমিত শাহ নিজে সেই সময় মাঠে নেমে বাবুলকে নিরস্ত করেছিলেন। কিন্তু তা করেও শেষরক্ষা হয়নি। বাবুল কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আসানসোলের সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিতে চেয়েছেন। যদিও তিনি লোকসভার স্পিকারের কাছে এর জন্য সময় চাইলেও তা ওম বিড়লা এখনও পর্যন্ত দেননি বলেই জানা গিয়েছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে কতদিন বাবুলের সাংসদ পদ ধরে রাখতে সক্ষম হবে বিজেপি? আজ না হোক কাল তো ওম বিড়লাকে সময় দিতেই হবে বাবুলকে। আর তখন বাবুল ইস্তফাও দেবেন। তাই বাবুলের সাংসদ পদ ছাড়ার ঘটনাকে সামনে রেখেই এবার অধিকারীদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। চাপ বাড়ানো হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার ওপরেও।

উল্লেখ্য কিছুটা তৃণমূলের চাপে পড়েই ওম বিড়লা শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান জানাবার জন্য। কিন্তু সেই চিঠির উত্তর আজও দিয়ে উঠতে পারেননি অধিকারীরা। তবে তাঁরা দুইজনই এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তাঁরা তৃণমূলেই আছেন। যদিও তাঁদের এই বক্তব্য ও দাবীকে মানতে নারাজ তৃণমূল। বাংলার শাসক দল চাইছে অধিকারীদের দুই সাংসদই ইস্তফা দিন তাঁদের পদ থেকে। বাবুলের ইস্তফা গৃহীত হলেই তৃণমূল এই নিয়ে ওম বিড়লার ওপর চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অধিকারীরা তো বটেই বিজেপি নেতৃত্বও বুঝতে পারছে বাবুলের ইস্তফা ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। যে নৈতিক কারনে বাবুলের ইস্তফা গৃহীত হবে সেই নৈতিক কারনেই শিশির-দিব্যেন্দুর সাংসদ পদ বাতিল হওয়া উচিত। স্বাভাবিক ভাবেই বাবুলের ঘটনার জেরে এখন বিজেপি তো বটেই চাপে পড়ে গিয়েছে অধিকারীরাও। তৃণমূল এখন সোজাসুজি দাবি তুলেছে, যে নৈতিক কারন দেখিয়ে বাবুল তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন সেই কারনেই পদত্যাগ করুন শিশির ও দিব্যেন্দু।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সিভিকদের পক্ষেই সুপ্রিম কোর্টে আজ হলফনামা দেবে রাজ্য সরকার

২৫ নভেম্বরের আগে কলকাতায় শীত দূর অস্ত, জানাল আবহাওয়া অফিস

বেসরকারি বাস নিয়ে মুখ্যসচিবকে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

‘আমি নির্দোষ’, দাবি সঞ্জয়ের, তবুও চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শেষ

বিসর্জনে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ অফিসার,পাতিপুকুরে গৃহবধূকে কটুক্তি,ধৃত ৩

মমতার শিশুসাথী প্রাণ বাঁচাল ৯ বছরের শিশুর, হার্টে ছিল ফুটো

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর