এই মুহূর্তে

১২গুণ ধনী হল তৃণমূল, সৌজন্যে মোদির নির্বাচনী বন্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি: দাদাভাইয়ের বন্ডে দিদিভাইয়ের দল বাড়ে, কিংবা বিজেপির(BJP) কোলে তৃণমূল দোলে। যা খুশিই বলা যায়। পাবলিকে বলছেও। আর কেনই বা বলবে না! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন সরকারের হাত ধরে দেশে চালু হওয়া নির্বাচনী বন্ডের(Elections Bond) দৌলতে যদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) ১২গুণ ধনী হয়ে ওঠে, তাহলে তো পাবলিক বলবেই পদ্মের কোলে ঘাসফুল দোলে। যদিও বাংলার শাসক দল এই ঘটনায় মোটেও উদ্বিগ্ন নয়। বরঞ্চ তাঁরা ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতি ফুলিয়ে বলছে, ‘আমাদের দল সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা বজায় রাখে।’ আর এইসব দেখে এখন বঙ্গ বিজেপির নেতাকর্মীদের কাছে অনেকেরই প্রশ্ন, ‘আচ্ছা দাদা আপনারা লড়াইটা ঠিক করছেন কার বিরুদ্ধে? নাকি সবটাই নাটক? লড়াই লড়াই খেলা। বাংলায় কুস্তি আর দিল্লিতে দোস্তি?’ যদিও অপরপক্ষ থেকে শুধুই Pin Drop Silence ভিন্ন আর কিছুই ভেসে আসছে না। বরঞ্চ তাঁরা এখন মুখ লোকাতেই ব্যস্ত থাকছেন।

আরও পড়ুন ‘আপনারা পুরস্কার দেবেন আর আমরা পরে পরে মার খাবো’

চলুন তাহলে গল্পটা বলি। খাতায় কলমের হিসাব বলছে গত অর্থবর্ষে বাংলার শাসক দল তৃণমূলের ‘ভান্ডারে’ আসা মোট চাঁদার ৯৬ শতাংশেরও বেশি এসেছে নির্বাচনী বন্ড থেকে। এক বছরের মধ্যে নির্বাচনী বন্ডে তাদের আয় বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ! ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তৃণমূলের তহবিলের প্রায় ৪১ কোটি টাকা এসেছিল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ৫২৮ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ২০২০-২২ অর্থবর্ষের আয়-ব্যয়ের যে অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা করেছে, তা থেকেই এই মহার্ঘ্য সত্যটি ফাঁস হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রায় ৫৪৫ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে তৃণমূলের। তার মধ্যে ৯৬ শতাংশের সামান্য বেশি, ৫২৮ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে এসেছে। এ ছাড়া ১৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা সদস্য চাঁদা, মুখপত্রের গ্রাহক চাঁদা এবং অর্থসংগ্রহ কর্মসূচির মাধ্যমে পেয়েছে তৃণমূল। তবে এতে দলের স্বচ্ছতা নাকি আরও প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, এমনবই দাবি জোড়াফুলের নেতাদের।

আরও পড়ুন তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে ছবি তুলে শোকজের মুখে বিজেপি নেতা

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, ‘আমাদের দল সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা বজায় রাখে। এ ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা বজায় রেখেই নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করা হয়েছে। ভারতবর্ষের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে বিজেপির। সেই অর্থ দিয়ে তারা বিরোধী দল ভাঙা, বিধায়ক-সাংসদ কেনাবেচা চালিয়ে যাচ্ছে।’ তা সে শান্তনুবাবু যাই বলুন না কেন, ২০১৭-র বাজেটের মাধ্যমে আইনে একগুচ্ছ সংশোধনী এনে মোদি সরকার ২০১৮ থেকে যে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল তার ফসল যে তৃণমূল এখন ঘরে তুলছে এটা দেখেও অনেকেরই মনে স্বস্তি এসে গিয়েছে। তবে বাংলায় এসবের জন্য অবশ্যই আমজনতার কাছে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে বিজেপির নেতাকর্মীদেরই। পড়তে হচ্ছে তাঁদের প্রশ্নের মুখেও। তাঁদের তৃণমূল বিরোধিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভোটের মুখে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি জওয়ানের চাকরি নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন

গার্ডেনরিচের ঘটনার জেরে একাধিক বাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত

গার্ডেনরিচের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল লালবাজার

গার্ডেনরিচে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, কলকাতা পুরসভার তিন ইঞ্জিনিয়ারকে  শোকজ

এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা বেড়েছে, অভিযোগ বিধানসভা অধ্যক্ষের

শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হোক লিঙ্গ দেখে, বিস্ফোরক ট্যুইট তথাগতের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর