নিজস্ব প্রতিনিধি: বকেয়া আদায়ে গিয়ে টানা দু’দিন দিল্লি পুলিশের হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। মঙ্গলবার রাতে তো কৃষি ভবন থেকে কার্যত টেনে-হিঁচড়ে থানায় নিয়ে গিয়েছিল অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন দিল্লি পুলিশ। ওই হেনস্তার পরে বুধবার কলকাতায় ফিরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ‘দিল্লির বুকে সোম কিংবা মঙ্গলবার যা ছিল, তা ট্রেলার। এবার ৫০ হাজার থেকে লক্ষাধিক লোক নিয়ে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হবে।’
এদিন সন্ধেয় দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার রাতে কৃষি ভবনে তাঁদের ধর্না ভাঙতে যেভাবে দিল্লি পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি তার নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘আড়াই ঘন্টা বসিয়ে রেখেও দেখা করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সত্যের মুখোমুখি হতে চাননি বলে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।’ এর পরেই কৃষি ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি করে অভিষেক বলেন, ‘গোটা ঘটনাই ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। ফলে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করলেই সত্যি ঘটনা প্রকাশ হবে।’ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ‘দিল্লিতে ওটা ট্রেলার ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লক্ষাধিক লোক নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে জমায়েত করব। দেখব ওরা কী করে?’
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তাঁকে, তাঁর স্ত্রী, বাবা-মাকে জেরার জন্য তলব করেছে ‘বিশ্বাসযোগ্যহীন’ সংস্থা ইডি। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এর আগেও আমাকে, আমার স্ত্রীকে ওরা তলব করেছে। একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ রয়েছে, তাই কিছু করতে পারছে না। অন্য মামলায় ডেকে পাঠাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে আদালতে জমা দিক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছি না, তবে সংস্থাগুলি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে। তাদের চ্যালেঞ্জ করছি আমি।’ দিল্লির হেনস্থার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জানান, ‘উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয় চলছে। তাই ওখানকার নেতা-কর্মীদের কলকাতায় আসতে নিষেধ করা হয়েছে।’