নিজস্ব প্রতিনিধি: সারদাকাণ্ডে (SARADHA SCAM) বারবার উঠে এসেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (SUVENDU ADHIKARY) নাম। তবু সিবিআই (CBI) ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্যই তাঁকে রাখা হয়েছে তদন্তের আওতার বাইরে। সঠিক তদন্তের জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হক। এই দাবি তুলেই রাজভবনে গেলেন তৃণমূলের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী (EDUCATION MINISTER BRATYA BASU) ব্রাত্য বসু।
তৃণমূলের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ব্রাত্য বসু, তাপস রায়, কুণাল ঘোষ, ড: শশী পাঁজা, অর্জুন সিং, ফিরোজা বিবি, সায়নী ঘোষ, বিশ্বজিৎ দেব। তাঁরা এদিন রাজভবনে গিয়ে দেখান করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে। হয় দীর্ঘ বৈঠক। তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে বলা হয়, সারদা কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়, নারদা কাণ্ডে কেন শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হয়নি?
এদিন তৃণমূলের (TMC) পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে (GOVERNOR) বলা হয়, গত ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২২ সালে সারদাকর্তা নিজে স্বীকার করেছে শুভেন্দু অধিকারীকে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা দিয়েছে বলে। এমনকি বিচারককে নিজের বয়ান লিখে জানিয়েছে সারদা কর্তা। তবুও সারদা কাণ্ডে সকলকে তদন্তের আওতায় আনা হলেও শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই। এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়, শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করার। রাজ্যপালের কাছে সবুজ শিবিরের প্রতিনিধি দলের আবেদন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হক।
এদিন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি (BJP) শিবিরে থাকলেই তাঁকে তদন্তের আওতার বাইরে রাখছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। যার নামে অভিযোগ তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেও সমস্ত অপরাধ মকুব করে দেওয়া হয়, গ্রেফতার করা হয় না। এরপরেই কুণালের প্রশ্ন, ‘বিজেপি কি ওয়াশিংমেশিন’ না কি? বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করা হচ্ছে। তা করছে বিজেপি। এই কথা রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, নারদা কাণ্ডে কেন শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হল না? কুণাল ঘোষ বলেন, কিছু হলেই বিজেপি রাজ্যপালের কাছে যায়। অথচ রাজ্যপাল সমস্ত রাজনীতির ওপরে। তাই তাঁর কাছে আবেদন করা হয়েছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার। তিনি বলেন, এই আলোচনা ইতিবাচক।
ব্রাত্য বসু বলেন, এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের বৈঠকে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, তৃণমূল তাঁদের পক্ষ থেকে কিছু তথ্য জানিয়েছে। রাজ্যপাল তাঁর কিছু মতামত জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে আলোচনা আশাজনক। এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজ্যপাল কোনও দলের নন তিনি সবার। তাই তাঁকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে,তদন্ত যাতে প্রভাবিত না হয় তা লক্ষ্য রাখার জন্য।