নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা চেয়েছিল তার নিজের মেয়েকে। এবার লক্ষ্য ২০২৪। তাই দেশজুড়ে এবার শ্লোগান উঠছে, ‘ভারত চাইছে মমতাদিকে’(India Wants Mamata Di)। হাতে আর মাত্র দুই বছর। কিন্তু এই দুই বছরের মধ্যেই দেশজুড়ে মমতা হাওয়া ছড়িয়ে দিতে চাইছে তৃণমূল(TMC)। আর সেই লক্ষ্যেই এদিন থেকেই শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের এক নতুন কর্মসূচি, ‘ভারত চাইছে মমতাদিকে’। সন্দেহ নেই বাংলার অগ্নিকন্যা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই(Mamata Banerjee) এখন জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে মোদির(Narendra Modi) প্রধান বিরোধী মুখ। দেশের একতা বড় অংশের মানুষই এখন মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন। মমতাকে সামনে রেখেই গড়ে তোলা হচ্ছে মোদি তথা বিজেপি(BJP) বিরোধী জোট। সেই লড়াইয়ের কথা মাথায় রেখেই এবার দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের কর্মসূচি, ‘ভারত চাইছে মমতাদিকে’।
দুই বছর বাদে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দেশের পরবর্তী সাধারন নির্বাচন। বর্তমানে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এবং অবশ্যই তাঁদের মাথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতা থেকে হটাবার লক্ষ্য নিয়েই বিজেপি বিরোধী দলগুলি লড়াই শুরু করবে। আর সেখানেই দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলি একজোট হচ্ছে। সেখানে যেমন তৃণমূল কংগ্রেস আছে, জাতয়ীতাবাদী কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি রয়েছে তেমনি রয়েছে আম আদমি পার্টি, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল। এই জোটে আসতে পারে শিবসেনা, আসতে পারেন বামপন্থীরাও। যদিও কংগ্রেস এই জোট থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রেখেই চলেছে। দূরত্ব বজায় রাখছে কংগ্রেসের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা আরও বেশ কিছু রাজনৈতিক দলও। তবে একদম শেষ মুহুর্তে তাঁরাও যে এই জোটে চলে আসতে পারে সেটা অনেকেই মনে করছেন। কিন্তু এই বিজেপি বিরোধী জোট কতখানি সফল ভাবে গড়ে উঠবে তা নিয়ে যেমন খটকা রয়েছে, তেমনি তৃণমূলকেও যে শক্তি আরও বাড়াতে হবে সেটা বিলক্ষণই জানা আছে।
আর সেই শক্তি বাড়াবার লক্ষ্যেই তৃণমূলের তরফে দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে প্রচার চালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে নতুন ওয়েবসাইট ‘https://indiawantsmamatadi.com/’। শনিবার এই ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। এই নামে ফেসবুকেও একটি পেজ আগেই খোলা হয়েছিল যা তৃণমূল নিয়ন্ত্রণ করে। ফেসবুকের সেই প্রচারের পাশাপাশি এবার প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা হল এই ওয়েবসাইটটিকেও। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে ওয়েবটির মূল দায়িত্বে আছেন সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে দায়িত্বে আছেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়, নীলাঞ্জন দাস, শুভায়ন ভট্টাচার্য, স্পন্দন গায়েন, অভিষেক মজুমদার ও আঝার আমিন।