নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকাল রাত থেকে ছড়িয়েছে জল্পনা। নেপথ্যে কুণাল ঘোষের(Kunal Ghosh) ট্যুইট। জল্পনা এটাই যে তিনি হয় রাজনীতি(Politics) ছাড়ছেন, নাহয় তৃণমূল(TMC) ছাড়ছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারও নাম না নিয়েই একটি ট্যুইট(Tweet) করেছেন কুণাল। তাতে লিখেছেন, ‘নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, তৃণমূল দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।’ তার পরে পরেই নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজনীতিকের পরিচয়টাই মুছে দিয়েছেন তিনি। এখন তিনি শুধুই ‘সাংবাদিক আর সমাজকর্মী’(Journalist and Social Activist)। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে তো বটেই, রাজ্য রাজনীতিতেও জল্পনা ছড়িয়েছে বিস্তর। তবে মজার কথা ঠিক কাকে উদ্দেশ্য করে তিনি এই ট্যুইট করেছেন তা এখনও সামনে আসেনি। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, কুণালের মান ভাঙাতে এদিন অর্থাৎ শুক্রবার সকাল থেকেই মাঠে নেমেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
সারদা মামলায় দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকার পরেও রাজ্য রাজনীতিতে কুণালের ফিরে আসাকে অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি বা দেখেন না। তাঁদের অনেকেরই আবার তৃণমূলেরই। আড়ালে আবডালে তাঁরা কুণালকে তীব্র বাক্যবাণে বিদ্ধ করতেও যেমন ছাড়েন না তেমনি তাঁকে নিয়ে বা তাঁকে উদ্দেশ্য করে কুকথার বাণ ছোটান। কিন্তু এটাও ঘটনা যে, জেল থেকে ফিরে আসার পরে বিগত কয়েক বছরে তৃণমূলের অন্দরে কুণালের কার্যত ধূমকেতু সম উত্থান ঘটেছে। মাঝে কিছু দিনের জন্য দল তাঁকে ‘সেন্সর’ও করেছিল। তার পরে আবার স্বমহিমায় ফিরেছিলেন কুণাল। কিন্তু দলের সঙ্গে মন কষাকষির সময়েও কখনও দেখা যায়নি সমাজমাধ্যমে তৃণমূলের মুখপাত্র হিসাবে নিজের পরিচয় মুছে দিচ্ছেন কুণাল। সে দিক থেকে এ বারের ঘটনা ‘নজিরবিহীন এবং অর্থবহ’ বলেই মনে করা হচ্ছে। দেখার বিষয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর মান ভাঙাতে পারে কিনা! নাকি সত্যি সত্যিই রাজনীতি আর তৃণমূল ছেড়ে কুণাল শুধুই সাংবাদিক এবং সমাজকর্মী হিসাবে থেকে যান কিনা।