নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলের টিকিটেই বাংলা থেকে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন শিশির অধিকারী(Sishir Adhikari) ও দিব্যেন্দু অধিকারী(Dibendu Adhikari)। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ত্যাগের পর থেকেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বেড়েছে। দলের সঙ্গে এখন আর কোনও যোগাযোগও নেই শিশির বা দিব্যেন্দুর। সব থেকে বড় কথা দুইজনের বিরুদ্ধেই তৃণমূল(TMC) সরব হয়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে। দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূল দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ সরাসরি তুলতে না পারলেও এই অভিযোগে তাঁর বিদ্ধ করেছে শিশির অধিকারীকে। শুধু তাই নয়, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকেও তৃণমূল চিঠি দিয়ে শিশিরবাবুর সাংসদ পদ খারিজ করার দাবি জানিয়েছে। যদিও সেই বিষয়টি এখনও ঝুলে রয়েছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের(Presidential Election) জন্য ভোটদান করতে দিল্লি যেতে পারেন শিশিরবাবু ও দিব্যেন্দু। সেই দিকেই এখন নজর রাখা শুরু করে দিল তৃণমূল।
দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ‘১৮ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আমার কাছে দলের তরফে কোনও নোটিশ আসেনি। সেই সময় আমি দিল্লিতে থাকব। তাই সংসদেই ভোট দেব। বাবাও আমার সঙ্গেই ভোট দেবেন।’ ঘটনা হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচণের ৩ দিনের মাথাতেই কলকাতায় ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশ। সেই সমাবেশ এবার কোভিডের কারণে ২ বছর পর আবারও আয়োজিত হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এবার রেকর্ড জমায়েতের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছে বাংলার শাসক দল। সেই সমাবেশের কারণেই ব্যস্ত থাকবেন তৃণমূলের সব সাংসদরা। সেই কারণে তৃণমূলের সব সাংসদরা রাজ্য বিধানসভাতেই দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে ভোট দেবেন। ব্যতিক্রম দিব্যেন্দু ও শিশির। তাঁরা ভোট দেবেন দিল্লি গিয়ে সংসদ ভবনে। মনে করা হচ্ছে তাঁরা এনডিএ’র প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকেই ভোট দেবেন। যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি দিব্যেন্দু।
ঘটনা হচ্ছে তৃণমূল যখন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে শিশিরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া ও তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছিল তখন স্পিকারের তরফেও শিশিরবাবুকে চিঠি দিয়ে দিল্লি এসে দেখা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় দিল্লি যাননি শিশিরবাবু। তবে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি স্পিকারকে। অথচ এখন তাঁরা দিল্লি যাচ্ছেন ভোট দিতে। এই বিষয়টিই নজরে রাখছে তৃণমূল। এবারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হুইপ জারি করতে পারবে না কোনও দল। ফলে কোনও বিধায়ক বা সাংসদ দলের নির্দেশ অমান্য করে অন্য কোনও প্রার্থীকে ভোট দিলেও তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার সুযোগ এবারে অন্তত নেই। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দৌপদী মুর্মুকে ভোট দিতে পারেন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, ওই দুই সাংসদের কাছে দলের পক্ষ থেকে কোনও নোটিস পাঠানো হয়নি।