নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ বুধবার ঐতিহাসিক নন্দীগ্রাম দিবস।
২০০৭ সালে তৎকালীন বিরোধী নেত্রীর (বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জমি আন্দোলন বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ বদলে দিয়েছিল। ফিরে এসেছিল ‘জমি যার লাঙল তাঁর’ স্লোগান এক নতুন রূপে। ২০০৭ সালের এই দিনে তৎকালীন বাম সরকারের ‘দলদাস’ পুলিশ আন্দোলনরত অন্নদাতাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। প্রান হারান ১৪ জন কৃষক। নির্মমতার শেষ সেটাই নয়। ওই বছর নভেম্বরেও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে।
প্রতিবছর দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তার অন্যথা হয়নি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতি বছর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’ -এ শহিদদের কুর্নিশ জানিয়ে থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারও নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদদের শ্রদ্ধা জানায়।
মুখ্যমন্ত্রী বুধবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, ‘নন্দীগ্রামের শহিদদের আমরা ভুলছি না, ভুলব না। নন্দীগ্রাম-সহ সারা পৃথিবীর সকল শহিদদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।’
নন্দীগ্রামেও ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির তরফ থেকে পৃথক স্মরণসভার আয়োজন করা হয় এখানকার গোকুলনগরের করপল্লীতে। স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, তাপস রায়, জয়া দত্ত, অখিল গিরি, দেবব্রত মণ্ডল। এদিনের অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম(ববি), পূর্ণেন্দু বসুরও থাকার কথা থাকলেও বিশেষ কারণে তাঁরা অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি।
উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, তৃণমূলের প্রাক্তন সৈনিক বর্তমানে গেরুয়া শিবিরের নেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রতি বছর নন্দীগ্রাম দিবসে কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিতেন। তিনিও একটি পৃথক কর্মসূচি নিয়েছেন। রাজনৈতিক মহল এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানিয়েছে, নিজের ভাবমূর্তি ধরে রাখতেই এই কর্মসূচি।