নিজস্ব প্রতিনিধি: এবার ইডির স্ক্যানারে টলিউডের অভিনেত্রী শ্বেতা চক্রবর্তী। ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকবার আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে ইডি(ED) আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। এদিকে তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন অয়ন শীলকে(Ayan Seal) গ্রেফতার করার আগে তার হোয়াটসঅ্যাপে এক রহস্যময়ী আগে থেকে মেসেজ করেছিলেন ।সেই মেসেজে তিনি বলেছিলেন ইডি(ED) আসছে। সমস্ত তথ্য সরিয়ে ফেলো। পালিয়ে যাও।
তদন্তে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন অনুব্রত মণ্ডলের মতো প্রোমোটার অয়েল ছিল তার বাড়ির কাজের লোক গাড়ি চালক এবং অন্যান্যদের নামে বিভিন্ন একাউন্টে টাকা লেনদেন করেছিলেন। টলিউডের অভিনেত্রী শ্বেতা চক্রবর্তীর(Sweta Chakraborty) সঙ্গে কুন্তলের যোগাযোগ ছিল কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে ইডি। যদিও অয়ন শীলকে অভিনেত্রী শ্বেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এখনো মুখ খোলেননি বলে জানা গিয়েছে। এর আগে কুন্তলের(Kuntal) সঙ্গে যোগাযোগ থাকার সূত্র ধরে টলিউডের অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে একাধিকবার সিজিও কমপ্লেক্সের ডেকে জেরা করা হয়েছিল।
পরবর্তীকালে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত কোন দলের কাছ থেকে নেওয়া ৪০ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। কুন্তল শান্তনু এবং অয়ন শীলের সূত্র ধরে টলিউডের(Tollywood) একাধিক অভিনেত্রীর নাম জানতে পারছে ইডি। এবার সেই তালিকায় সামনে এলো অভিনেত্রী শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম। খুব শীঘ্রই তদন্তের স্বার্থে শ্বেতা চক্রবর্তীকে সিজিও কমপ্লেক্সে(CGO Complex) তলব করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডির নজরে অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী। ২০২০ সালে কামারহাটি পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দেন শ্বেতা। যদিও কয়েকদিন ধরে তিনি অফিস আসছেন না বলেই খবর। ইডির ফোনও ধরছেন না শ্বেতা।