নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও তীব্র হল।
সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সংসদে আসন্ন বাজেট অধিবেশেনে তৃণমূল শিবির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য়পাল জদগীপ ধনখড়ের অপসারণ চেয়ে একটি স্বতন্ত্র প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে। দলের তরফ থেকে সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
আসন্ন বাজেট অধিবেশন দলের রণকৌশল কী হবে, তা নির্ধারণ করতে বৃহস্পতিবার কালীঘাটে বসেছিল তৃণমূল শিবির। সেখানে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও সরব হন তাঁরা। বৈঠকের পরে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মানবাধিকার কমিশন গঠনের যৌক্তিকতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। আসলে জগদীপ ধনখড়কে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্ব পাঠানোর এক এবং অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত বাধিয়ে দেওয়া। রাজ্যপালের পদ অত্যন্ত সম্মানের। রাষ্ট্রপতি অত্যন্ত সম্মাননীয় ব্যক্তি এবং তিনি নির্বাচিত। কিন্তু রাজ্যপাল এক জন মনোনীত পদাধিকারী হয়েও তিনি লাগাতার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা আর অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সেটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সে কারণে সংসদের আসন্ন বাজেটে রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে একটি স্বতন্ত্র প্রস্তাব পেশ করা হবে।’
উল্লেখ করার মতো বিষয় হল একই দিন সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করেন। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সংবিধানের ১৬৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী সমস্ত বিষয়ে তাঁকে অবহিত করা রাজ্য সরকারের বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে। পাশাপাশি পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকার গঠিত কমিশন-সহ একাধিক বিষয়ে তাঁকে তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।