কোভিড আবহে নয় রাস-গঙ্গাসাগর! মামলার সম্ভাবনা হাইকোর্টে
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়ার সিধু কানহু স্টেডিয়ামে সরকারি পরিষেবা প্রদানকারী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই গর্জে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজো, কালিপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছটপুজো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যেভাবে একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন তিনি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই ক্ষোভকে বিন্দুমাত্র আমল না দিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে আরও একটি মামলা দায়ের করার তোড়জোড় চলছে। সেই মামলা দায়ের করা হবে কোভিড আবহে রাজ্যে যাতে কোথাও রাসমেলা আয়োজিত না হতে পারে সেই আবেদন জানিয়ে। একই সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করতে চেয়েও মামলা দায়ের হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন মেলা করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাও বন্ধ করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে এই ৩টি মেলা পৃথক পৃথক ভাবে দায়ের হলেও তার শুনানি একসঙ্গেই হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
দুর্গাপুজোর অনেক আগেই রাজ্য সরকার কোভিড বিধি প্রকাশ করে দিয়েছিল। কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এবারে কোভিড আবহে কীভাবে পুজো করতে হবে। কতটা খোলামেলা মণ্ডপ করতে হবে, মণ্ডপে মণ্ডপে কীভাবে ২৫জন করে দর্শনার্থী ঢুকবে, রেড রোডের কার্নিভাল সহ বিসর্জনের শোভাযাত্রা বন্ধ থাকবে, কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক – এসবই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে রাজ্য সরকার তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। সবটাই করা হয়েছিল পুজোর ১ মাস আগে থেকেই। অথচ তখন কোনও মামলা দায়ের হয়নি। মামলা দায়ের হয় পুজোর মুখে। সেই মামলাতেই রাজ্য সরকারের সব দাবি, ব্যবস্থাপনা, নির্দেশিকা নস্যাৎ করে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক বিতর্কিত রায় দিয়েছিল যার জেরে মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢোকা বন্ধ হয়ে যায়। অনেকেই হাইকোর্টের এই রায়কে রাজ্য সরকারের অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ বলে চিহ্নিত করেছিলেন। যদিও সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়নি। পরে কালিপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ও ছটপুজোর মুখেও এই ধরনের মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সব কটি মামলাতেই আবেদন ছিল পুজো বন্ধ করার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই বাঁকুড়া থেকে তাঁর তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন পুজো বন্ধ করার জন্য মামলা করা নিয়ে। গোটা ঘটনার জন্য তিনি রাম-বামকেই কাঠগড়ায় তোলেন। কিন্তু তাঁর সেই আপত্তি ও ক্ষোভকে আমল না দিয়েই এবার তোড়জোড় শুরু হয়েছে রাসমেলা, গঙ্গাসাগর মেলা ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত মেলাগুলি বন্ধ করার জন্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি। আজ কালের মধ্যেই রাসমেলা নিয়ে মামলা দায়ের হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। আগামী সোমবার রাসপূর্ণিমা। সেদিন থেকেই কোচবিহারে যেমন ১ মাসের রাসমেলা শুরু হতে চলেছে ঠিক তেমনি শান্তিপুরেও শুরু হতে চলেছে রাসযাত্রা। একই রকমের উৎসব পালিত হবে নবদ্বীপ, উলুবেড়িয়া সহ রাজ্যের প্রায় সবকটি জেলাতেই। ৩ দিনের রাসযাত্রা উপলক্ষ্যে গ্রামবাংলার আনাচেকানাচে প্রচুর মেলা বসে যেখানে যাত্রাও অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। সেই সব মেলায় প্রচুর লোকসমাগমও হয়। কোভিড আবহে এবার সেই সব মেলা বন্ধ করতেই মামলা দায়ের হতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। পিছনে অবশ্যই গেরুয়া শিবিরের প্রত্যক্ষ মদত।
পৌষ মেলার শেষ দিক করে সাগরদ্বীপে শুরু হইয়ে যাবে গঙ্গাসাগর মেলা। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত রকমের কোভিড বিধি মেনেই মেলার আয়োজন করা হবে গঙ্গাসাগরে। এর পাশাপাশি মেলা হবে বীরভূমের জয়দেবেও। ইতিমধ্যেই সরকারি স্তরে এইসব মেলার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আগামী সপ্তাহেই হাইকোর্টে কোভিড আবহে জনস্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে মামলা দায়ের হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা যাতে এবারে না আয়োজন করা হয় সেই দিকে লক্ষ্য রেখে। যদিও কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কুম্ভমেলা আয়োজিত হবে প্রয়াগে। সেক্ষেত্রে গঙ্গাসাগর মেলা কেন আয়োজিত হবে না সেই যুক্তি রাজ্যের তরফে মামলাকারীদের কাছ থেকে চাওয়া হতে পারে। তবে হাইকোর্ট যদি মেলা না করার পক্ষেই রায় দেয় তাহলে এবারেও রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে নাও যেতে পারে। একই সঙ্গে অপর আরও একটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নানা মেলা বন্ধ করার জন্য। লকডাউনের জেরে রাজ্যের লোকশিল্পীদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। মূলত এদের কথা ভেবেই রাজ্য সরকার বেশ কিছু মেলার আয়োজন করতে চলেছে যাবতীয় কোভিড বিধি মেনেই। কিন্তু সেই সব মেলাও যাতে আয়োজিত না হয় তার জন্য মামলা দায়ের হতে পারে চলতি সপ্তাহেই। এমনটাই জানা গিয়েছে হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশান সূত্রে।
দুর্গাপুজোর অনেক আগেই রাজ্য সরকার কোভিড বিধি প্রকাশ করে দিয়েছিল। কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এবারে কোভিড আবহে কীভাবে পুজো করতে হবে। কতটা খোলামেলা মণ্ডপ করতে হবে, মণ্ডপে মণ্ডপে কীভাবে ২৫জন করে দর্শনার্থী ঢুকবে, রেড রোডের কার্নিভাল সহ বিসর্জনের শোভাযাত্রা বন্ধ থাকবে, কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক – এসবই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে রাজ্য সরকার তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। সবটাই করা হয়েছিল পুজোর ১ মাস আগে থেকেই। অথচ তখন কোনও মামলা দায়ের হয়নি। মামলা দায়ের হয় পুজোর মুখে। সেই মামলাতেই রাজ্য সরকারের সব দাবি, ব্যবস্থাপনা, নির্দেশিকা নস্যাৎ করে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক বিতর্কিত রায় দিয়েছিল যার জেরে মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢোকা বন্ধ হয়ে যায়। অনেকেই হাইকোর্টের এই রায়কে রাজ্য সরকারের অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ বলে চিহ্নিত করেছিলেন। যদিও সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়নি। পরে কালিপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ও ছটপুজোর মুখেও এই ধরনের মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সব কটি মামলাতেই আবেদন ছিল পুজো বন্ধ করার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই বাঁকুড়া থেকে তাঁর তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন পুজো বন্ধ করার জন্য মামলা করা নিয়ে। গোটা ঘটনার জন্য তিনি রাম-বামকেই কাঠগড়ায় তোলেন। কিন্তু তাঁর সেই আপত্তি ও ক্ষোভকে আমল না দিয়েই এবার তোড়জোড় শুরু হয়েছে রাসমেলা, গঙ্গাসাগর মেলা ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত মেলাগুলি বন্ধ করার জন্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি। আজ কালের মধ্যেই রাসমেলা নিয়ে মামলা দায়ের হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। আগামী সোমবার রাসপূর্ণিমা। সেদিন থেকেই কোচবিহারে যেমন ১ মাসের রাসমেলা শুরু হতে চলেছে ঠিক তেমনি শান্তিপুরেও শুরু হতে চলেছে রাসযাত্রা। একই রকমের উৎসব পালিত হবে নবদ্বীপ, উলুবেড়িয়া সহ রাজ্যের প্রায় সবকটি জেলাতেই। ৩ দিনের রাসযাত্রা উপলক্ষ্যে গ্রামবাংলার আনাচেকানাচে প্রচুর মেলা বসে যেখানে যাত্রাও অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। সেই সব মেলায় প্রচুর লোকসমাগমও হয়। কোভিড আবহে এবার সেই সব মেলা বন্ধ করতেই মামলা দায়ের হতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। পিছনে অবশ্যই গেরুয়া শিবিরের প্রত্যক্ষ মদত।
পৌষ মেলার শেষ দিক করে সাগরদ্বীপে শুরু হইয়ে যাবে গঙ্গাসাগর মেলা। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত রকমের কোভিড বিধি মেনেই মেলার আয়োজন করা হবে গঙ্গাসাগরে। এর পাশাপাশি মেলা হবে বীরভূমের জয়দেবেও। ইতিমধ্যেই সরকারি স্তরে এইসব মেলার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আগামী সপ্তাহেই হাইকোর্টে কোভিড আবহে জনস্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে মামলা দায়ের হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা যাতে এবারে না আয়োজন করা হয় সেই দিকে লক্ষ্য রেখে। যদিও কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কুম্ভমেলা আয়োজিত হবে প্রয়াগে। সেক্ষেত্রে গঙ্গাসাগর মেলা কেন আয়োজিত হবে না সেই যুক্তি রাজ্যের তরফে মামলাকারীদের কাছ থেকে চাওয়া হতে পারে। তবে হাইকোর্ট যদি মেলা না করার পক্ষেই রায় দেয় তাহলে এবারেও রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে নাও যেতে পারে। একই সঙ্গে অপর আরও একটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নানা মেলা বন্ধ করার জন্য। লকডাউনের জেরে রাজ্যের লোকশিল্পীদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। মূলত এদের কথা ভেবেই রাজ্য সরকার বেশ কিছু মেলার আয়োজন করতে চলেছে যাবতীয় কোভিড বিধি মেনেই। কিন্তু সেই সব মেলাও যাতে আয়োজিত না হয় তার জন্য মামলা দায়ের হতে পারে চলতি সপ্তাহেই। এমনটাই জানা গিয়েছে হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশান সূত্রে।
More News:
18th January 2021
17th January 2021
17th January 2021
17th January 2021
17th January 2021
16th January 2021
16th January 2021
রাজ্যে শুরু টিকাকরণ প্রক্রিয়া, ভ্যাকসিন নিলেন মন্ত্রী নির্মল মাঝি
16th January 2021
শুক্রবার রাত থেকে বন্ধ হল শিয়ালদহ ফ্লাইওভার, জেনে নিন বিকল্প রুট
Leave A Comment