নিজস্ব প্রতিনিধি: দুইজনেরই বাড়ি একই জেলায়, একই শহরে। দুইজনই কলকাতায়(Kolkata) একই মেসে থাকতেন। দুইজনে মারাও গেলেন একইসঙ্গে। নজরে সৌম্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়(২৫) এবং বিশ্বল বিশ্বাস(২৬)। দুইজনই কার্যত সমবয়সী। সৌম্যজিৎ পুরুলিয়া(Purulia) শহরের নাপিতপাড়া নিউ কলোনি এলাকার বাসিন্দা। বিশ্বলের বাড়ি ওই শহরেরই সাহেববাঁধ এলাকায়। কর্মসূত্রে দুইজনই কলকাতায় থাকতেন। দমদম এলাকায় একটি মেসে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে আরও ২জন বন্ধু থাকেন। এই ৪জন মিলে শনিবার রাত ৩টে নাগাদ দমদম থেকে উত্তর কলকাতার বেনিয়াটোলার নাঠেরবাগান ঘাটে যান শিবঠাকুর ভাসান দিতে। আর সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা। জলে ডুবে(Drowned in Ganges) মারা যান সৌম্যজিৎ ও বিশ্বল। এদিন অর্থাৎ রবিবার সকালে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নও উঠছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শনিবার শিবপুজোর পর সেই মূর্তি গঙ্গায় বিসর্জন দিতে গিয়েছিলেন ৪ বন্ধু। রাত ৩টে নাগাদ তাঁরা ঘাটে যান। বিসর্জনের পর ঘাটে পাশাপাশি বসেছিলেন চার বন্ধু। হঠাৎ একসময় সৌম্যজিৎ পিছলে জলে পড়ে যান। তাঁকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন বিশ্বলও। দু’জনেই তলিয়ে যান গঙ্গার স্রোতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এদিন সকালে দুইজনের দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, গোটা ঘটনার সাক্ষী বেঁচে থাকা বাকি ২ বন্ধু। পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই যা তথ্য পাওয়ার তা পেয়েছে। কিন্তু রাত ৩টের সময় তাঁরা দমদম থেকে বেনিয়াটোলার নাঠেরবাগান ঘাটে কীভাবে গেলেন সেই তথ্য মিলছে না। এমনকি কেন রাত ৩টের সময়েই বিসর্জন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ল, সেই জবাবও অমিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারনা যা কিছু ঘটেছে তা মদ্যপানের নেশার ঘোরেই ঘটেছে। তবুও কী ভাবে দু’জন গঙ্গায় পড়ে গেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।