নিজস্ব প্রতিনিধি: গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুন কাণ্ডে আটক আরও দুই ব্যক্তি। শুক্রবার পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করেছে পুলিশ। ধৃতদের লালবাজারে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার। ধৃতদের জেরা করে ভিকির খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।
কাঁকুলিয়া রোডে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল খুনের ঘটনায় শহরজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদেহগুলি দেখে তদন্তকারীরা অনুমান করেছিলেন, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত। ঘটনার চার দিনের মাথায় জোড়া খুনের ঘটনায় মূল চক্রী মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাঁকে জের করে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেরায় সে জানায়, লুঠপাট এবং খুনের জন্য তিন জন ব্যক্তিকে ভাড়া করেছিল। তাদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার বিনিময়ে ওই কাজ করতে বলেছিল মিঠু। সঙ্গে ভিকি আর তার এক বন্ধু ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত হতেই বাকিদের উদ্দেশে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার পাথরপ্রতিমা থেকে যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের নাম জাহির গাজি এবং বাপি মণ্ডল। তবে ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ভিকির এখনও নাগাল পাননি গোয়েন্দারা।
বৃহস্পতিবারই কলকাতার নগরপাল সৌমেন মিত্র জানিয়েছিলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় রহস্যের সমাধান হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু দোষীদের ধরার কাজ চলছে। আপাতত জানা গিয়েছে, জোড়া খুনের সঙ্গে যুক্ত ছিল মিঠু, ভিকি ও আরও চারজন। নতুন করে আটক ব্যক্তিরা আদৌও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না তা জানতেই লালবাজারে জেরা চলছে। যদি যুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে তাদের ঠিক কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়েছি? সেই প্রশ্নও করা হতে পারে। একইসঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।