নিজস্ব প্রতিনিধি: মাধ্যমিকের (Madhyamik Examination) অঙ্ক পরীক্ষা ছিল বৃহস্পতিবার। অঙ্ক পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষাকেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সাতগাছিয়ার হাসনীচে স্কুলের ছাত্রী সিদ্দিকী সুলতানা। তারপর নোদাখালি প্রশাসনের উদ্যোগে নিয়ে যাওয়া হয় মুচিসা হাসপাতালে (Muchisa Hospital)। চিকিৎসার পর সেখানে বসে পরীক্ষা দেয় সিদ্দিকী। অন্যদিকে শুক্রবার ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা দেওয়ার আগে বাড়িতে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পায় রোশনি খাতুনের। এদিন সেও হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে রোশনি খাতুন মুচিসা বাবান গিনি বালিকা বিদ্যালয় স্কুলের ছাত্রী। শুক্রবার ঘটনার পর উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজন সাহায্যের জন্য নোদাখালি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর নোদাখালি থানার ওসির উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্সে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রোশনি খাতুনকে নিয়ে যাওয়া হয় মুচিসা হাসপাতালে। সেখানে রোশনি খাতুনের চিকিৎসার পর পুলিশ প্রহরায় মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় সে। স্থানীয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
বিষয়টি নিয়ে বজবজ-২ নম্বর ব্লকের সহকারী সভাপতি তৃণমূলের বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমাদের আদর্শ আমাদের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রোশনি খাতুনের আর্যপাড়ায় সিট পড়েছিল। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে বাড়িতে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যায়। একটা নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে তো পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব না। আমরা সকলে মিলে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এখানে এসেছি।’