নিজস্ব প্রতিনিধি: গরু পাচার(Cattle Smuggling) কাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী সিবিআই(CBI) গ্রেফতার করেছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে(Anubrata Mondol)। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে রাজ্যের স্কুলে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় দুর্নীতির জেরে ইডির তদন্তে আগেই জেলে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় অস্বীকার করার জায়গা নেই যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এখন বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে। এই অবস্থায় শুক্রবার গরু পাচার কাণ্ডের জন্য বিএসএফ(BSF)-কে দায়ী করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ(Udayan Guha)। শুধু তাই নয়, তিনি গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল জড়িত, এমনটাও মনে করেন না। তবে আস্থা রেখেছেন বিচারব্যবস্থার ওপরে। এদিন উদয়ন যা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছ তা কার্যত অনুব্রতের এই দুর্দিনে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর সমান। এতটা সাহস তৃণমূলের কোনও নেতাই এখনও পর্যন্ত দেখাতে পারেননি।
ঠিক কী বলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী? শুক্রবার দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ সাফ জানিয়েছেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল তো পাচারকারী নয়, যে গরু টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে পাচার করেছে। গরু নেপাল বা ভূটানে পাচার হয় না, পাচার হয় বাংলাদেশে। আর বাংলাদেশের সীমান্তে পাহারা দেয় কে? বিএসএফ। যদি একটা গরু ওপাড়ে যায় তার জন্য বিএসএফ দায়ী, অনুব্রত মণ্ডল নয়। আর বিএসএফ রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্বে। তাহলে গোরুপাচারের জন্য যদি কাউকে শাস্তি দিতেই হয় তাহলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যারা মাথা তাদের শাস্তি দিক। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের লোক যদি ৪২ দিন জেল খাটা লোক হতে পারে, ডাকাতির মামলায় অভিযুক্ত হতে পারে, তাহলে তাঁর হাত ধরে তো পাচার হবেই। তাহলে তাঁকেই তো সবার আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। শুধুমাত্র এই রাজ্য বলে নয়, যেখানেই বিরোধীরা রয়েছে সেখানেই এই ধরনের অভিযোগ উঠে থাকে। আর আমাদের রাজ্যে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই ইডি ও সিবিআইয়ের সংখ্যা কমে যাবে। কারণ এবার তারা সব বিহারে দৌড়বে। যদি কেউ অন্যায় করে তার শাস্তি হোক। বিচার বিচারের মতো চলুক না। সে যদি আমাদের দলের নেতাও হয় তাহলেও তার শাস্তি হোক। তা নিয়ে আমরা কোনও কথা বলব না। কিন্তু, অন্যায়ভাবে শুধু তৃণমূল করে বলে তাঁর ওপর দোষ চাপানো হবে এটা ঠিক নয়।’