নিজস্ব প্রতিনিধি: যানবাহনে যাত্রী সুরক্ষা বাড়াতে রাজ্য সরকার সমস্ত যাত্রিবাহী গাড়িতে অবস্থান নির্ণায়ক প্রযুক্তি বা ‘ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ (Vehicle Location Tracking Device) বসানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে। আগামী সোমবার সেই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হতে চলেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত ধরে। সোমবার আলিপুরে পরিবহণ দফতরের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার আলিপুরে নবনির্মিত বহুস্তরীয় গাড়ি পার্কিং লটেরও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠান থেকেই যাত্রিবাহী গাড়িতে অবস্থান নির্ণায়ক প্রযুক্তি বা ‘ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ বসানোর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন তিনি। আপাতত প্রথম দফায় এক হাজার গাড়িকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে যাত্রী পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত সব ধরনের বাণিজ্যিক গাড়িতে এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। রাজ্যের পরিবহণ দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। নির্ধারিত দিনের মধ্যে যদি গাড়িগুলি এই ব্যবস্থা না চালু করে তাহলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাড়িতে এই যন্ত্র বসাতে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে সেই যানগুলিকে ফিট শংসাপত্র দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে দেরি হওয়ার কারণে দিন পিছু ৫০ টাকা করে জরিমানা ধার্য করা হবে।
এই ব্যবস্থা চালু হলে কী সুবিধা হবে? জিপিএস প্রযুক্তি নির্ভর এই যন্ত্র গাড়িতে বসালে গাড়ির প্রতি মুহূর্তের অবস্থান এবং গতিবেগ জানতে পারবে পরিবহণ দফতর। সেই সঙ্গে প্রতিটি গাড়িতে বসাতে হবে প্যানিক বাটন। বাস বা ট্যাক্সিতে যাওয়ার সময় কোনও যাত্রী যৌন হেনস্থা বা যে কোনও ধরণের বিপদের সম্মুখীন হলে সেই বোতাম চাপলেই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে স্থানীয় থানায় বার্তা পৌঁছে যাবে। আপাতত সমস্ত যাত্রিবাহী বাস, মিনিবাস, হলুদ ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাব, স্কুলগাড়ি-সহ বিভিন্ন ভাড়ার গাড়িতে এই যন্ত্র বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু তাই নয় দুর্ঘটনা ঘটলে মাত্র আট সেকেন্ডের মধ্যে কন্ট্রোল রুমে বার্তা পাঠাবে এই যন্ত্র। এই ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য কলকাতায় পোদ্দার কোর্টে আধুনিক কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। শিলিগুড়ি এবং আসানসোলে আরও দু’টি কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হবে।