নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘নাক গলিয়ে’ অচলাবস্থা তৈরির অভিযোগ উঠেছে ‘গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল’ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। যোগ্য শিক্ষাবিদদের বাদ দিয়ে বিজেপির কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ‘আজ্ঞাবহ দাস’দের বাড়তি পয়সা কামানোর রাস্তা করে দিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে বঙ্গের ‘নব্য ছোট লাটের’ বিরুদ্ধে। এবার ‘বিজেপি বান্ধব’ রাজ্যপালের ‘মুখোশ’ খুলতে পথে নামছে উপচার্যদের সংগঠন এডুকেশনিস্ট ফোরাম (Educationist forum)। আগামিকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় রাজভবনের উত্তর গেটের বিপরীতে মৌন প্রতিবাদে বসবেন উপাচার্য এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা।
গত মাসখানেক ধরেই বাংলার উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে নখদাঁত বের করে আসরে নামার অভিযোগ উঠেছে বঙ্গের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। কখনও উপচার্যদের বরখাস্ত করছেন। কখনও মাঝরাতে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ‘আজ্ঞাবহ’কে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসিয়ে দিচ্ছেন। আর কালো চশমাধারী আনন্দের এমন কাজকর্ম নিয়ে বাংলাজুড়ে হাসি-মশকরা শুরু হয়েছে। অনেকেই কটাক্ষের ছলে বলছেন, ‘যা চলছে, তাতে লেখাপড়ার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকা পাড়ার হরি মুদিও যে কোনও দিন যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসে পড়তে পারেন।’
গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের ‘ক্রীড়নক’ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ধর্নায় বসার হুমকি দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন বঙ্গের ‘নব্য ছোটলাট’। আর তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই উপাচার্য ও শিক্ষাবিদদের সংগঠন ‘এডুকেশনিস্ট ফোরাম’ এর পক্ষে ওমপ্রকাশ মিশ্র রাজ্যপালকে পাল্টা নিশানা করেছেন। ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, ‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হয়ে রাজ্য সরকারকে সম্মান করছেন না আনন্দ বোস। বিজেপির দালালি করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভাঙার চেষ্টায় রয়েছেন। মিথ্যাচার ও কুৎসায় মেতেছেন। এসবের প্রতিবাদে রাজভবনের সামনে মৌন ধরনায় বসবেন সংগঠনের সদস্যরা।’