নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতের নির্দেশে ২০১৪’র Teacher Eligibility Test বা TET-এ ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের(Candidates) সফল হিসেবে গণ্য করার রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। এবার সেই প্রার্থীদের Interview-এ ডাকল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ(WBBPE)। শনিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই প্রার্থীদের আগামী ২৬ মে পর্ষদে এসে হাজিরা দিতে হবে Interview’র জন্য। যাঁদের প্রশিক্ষণ রয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা আবেদন জানিয়েছেন, কেবলমাত্র তাঁরাই এই Interview দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
আরও পড়ুন সম্ভবত রাজ্যের পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা
প্রসঙ্গত, ২০১৪’র TET-এ পাশ করার জন্য ন্যূনতম নম্বর ছিল ৮৩। কিন্তু ২০১৭’র TET-এ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৮২ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্ত প্রার্থীদের সফল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। অর্থাৎ ২০১৪’র TET-এ পাশ করার নম্বনের থেকে ২০১৭’র TET-এ পাশ করার নম্বর কমিয়ে দিয়েছিল পর্ষদ। সেই নম্বর কমার হার মাত্র ১ হলেও ২০১৪’র TET-এ ৮২ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আদালতে মামলা করেন। সেই মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Justice Abhijit Gangopadhay) নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেহেতু পর্ষদ ২০১৭’র TET-এ পাশ করার নম্বর ৮২ করেছে তাই ২০১৪’র TET-এ পাশ করার নূন্যতম নম্বর ৮২-ই থাকবে। যারা সেই পরীক্ষায় ৮২ নম্বর পেয়েছিল তাঁদের সফল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন ১ লক্ষ ২৫ হাজার স্কুল পড়ুয়াকে চশমা, সিদ্ধান্ত মমতার
এরকম কতজন প্রার্থী থাকতে পারেন, সেই হিসেব পর্ষদের কাছে না থাকলেও সংখ্যাটি হাজারের কাছাকাছি থাকতে পারে বলে কোনও কোনও মহলের মত। শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, হাইকোর্টের আটকে রাখা প্রায় চার হাজার শিক্ষক পদেও নিয়োগ করতে পারবে পর্ষদ। তার পরদিনই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠদশ ধাপের ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ২০১৪’র TET-এ ৮২ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১০০’র ওপরেই হবে।