নিজস্ব প্রতিনিধি: কালীপুজোতে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় রূপ নিতে পারে। এমনটাই দুর্যোগের আশঙ্কা করছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে সেই ঘূর্ণিঝড় রূপ নিলে তার গতিপ্রকৃতি বঙ্গের উপর দিয়ে যাবে কিনা সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নয় আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আপাতত সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের(Fisher Man) যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বুধবার রাতের মধ্যে যারা মাঝ সমুদ্রে গিয়েছেন ,তাদের অতি দ্রুত ফিরে আসার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
আগাম পূর্বাভাসে যে ঘূর্ণাবর্তার কথা জানানো হয়েছিল তা কিন্তু আছে । এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপটি তৈরি হবে কুড়ি অক্টোবর নাগাদ। একুশ অক্টোবর আরও একটু ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণাবর্তটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ এবং ২২ তারিখ আশা করা যাচ্ছে ডিপ্রেশন স্টেজে পৌঁছে যাবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের(Alipur weather Office) পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বুধবার বিকেলে এই খবর জানিয়ে বলেন, ২২ অক্টোবরের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় মধ্যে অর্থাৎ ২৪ অক্টোবরের এর মধ্যে এটা আরেকটু ঘনীভূত হয়ে বেস্ট সেন্ট্রাল বে অর্থাৎ পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের(Bay Of Bengal)ওপরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবার সম্ভাবনা ২৪ অক্টোবর নাগাদ। ঘূর্ণিঝড়(Cyclone) তৈরি হওয়ার পরে এর মুভমেন্ট কি হবে কোন ডাইরেকশনে যাবে সেটা পরবর্তী আপডেট দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে নিম্নচাপ যেহেতু তৈরি হয়নি, ফলে এখন অবধি বলা যেতে পারে ২২ অক্টোবরের পেরোলে ৪৮ ঘণ্টার পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে বলে আশা করছি।
সঞ্জীববাবু আরোও জানান, আগামীকাল নিম্নচাপটি(Depression) তৈরি হওয়ার পর আরেকটু বেটার পজিশনে গেলে এর গতিপথ কোন দিকে এগোবে ইত্যাদি বলা কিছুটা সম্ভব হবে। তবে এখন অবধি যেটা বলা যাচ্ছে ১৯ থেকে ২২ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে ও দক্ষিণবঙ্গে কোথাও বৃষ্টির সেরকম সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে পুরোটাই শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। ১৯ থেকে ২২ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে বিক্ষিপ্ত ভাবে দু এক জায়গায় বৃষ্টি (Rain)হওয়ার সম্ভাবনা । তাও খুব কম।আগামী ২৪ ঘণ্টায় বর্ষা বিদায় নেবে। এই মুহূর্তে যেটা মেজর ওয়ার্নিং হল, ২৩ তারিখ থেকে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞার জারি করছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন কালীপুজোর আগে বঙ্গে সাইক্লোন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন