এই মুহূর্তে




রবিতে উপকূলে, মঙ্গলে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে! বড় দুর্যোগ ধেয়ে আসছে বাংলায়




 

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত সপ্তাহের ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলা জলের তলায়। মেদিনীপুর ও হাওড়া-হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলের নীচে। ঘরছাড়া বহু মানুষ। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতেই ফের দুর্যোগের আশঙ্কা বঙ্গে। জোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরের বুকে। যার মধ্যে আজই একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামী শনিবারের মধ্যে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এগিয়ে যাবে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে। যার ফলে রবিবার থেকে খারাপ আবহাওয়া হবে দক্ষিণবঙ্গে। রবিবার থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হবে। ওই দিন মূলত পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে ভারী বৃষ্টি, বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৭ তারিখ দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-তে দু’এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি, বাকি জায়গাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির দাপট বাড়বে ২৮ তারিখ থেকে অর্থাৎ মঙ্গলবার।

কারণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যা প্রবল শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মঙ্গলবারই আছড়ে পড়বে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। এই নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। শুক্রবার হাওয়া অফিসের তরফে সতর্ক করা হয়েছে, ০৭ থেকে ১১ সেমি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলিতে। হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। আর তার আগেই তৎপর প্রশাসন। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তরফে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রবিবার থেকে ওই এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। ফের বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে, তাই নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে ওই এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দাকে। নবান্নের তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে বিশেষ নির্দেশ গিয়েছে। সেই সঙ্গে ত্রাণকাজের যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েও প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন।

ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা এবং ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্যবন্দর এলাকায় মাইকের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে মৎস্য দফতর। পাশাপাশি, মৎস্যজীবী সংগঠনগুলিকেও সতর্ক করা হচ্ছে। আগামীকাল থেকে পরের সপ্তাহ ২৯ সেপ্টেম্বর অবধি সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাওয়া দফতর। যারা গভীর সমুদ্রে গিয়েছে তাঁদের রবিবারের মধ্যে ঘরেফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজোর আগেই ভয়ঙ্কর দুর্যোগের মধ্যে পড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন জানিয়েছেন, ‘বিপর্যয়ের মোকাবিলায় সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নদী তীরবর্তী বিপদসঙ্কুল এলাকা থেকে প্রায় সব মানুষকেই ফ্লাড সেন্টারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগই প্রস্তুত।”




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিকাশ ভবনে রাতে সুপরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা নকশালপন্থীদের, দায় এড়ালেন আন্দোলনকারীরা

স্বঘোষিত ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের অবরোধ তোলা ঘিরে রণক্ষেত্র বিকাশ ভবন

রাতের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় ধেয়ে আসছে দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

কার্নিশ থেকে আচমকা ঝাঁপ পরীক্ষার্থীর, শোরগোল বিকাশ ভবনে

সোনারপুরে রেল অবরোধের জেরে ব্যহত দক্ষিণের পরিষেবা, নাজেহাল যাত্রীরা

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধংদেহী’ মেজাজে স্বঘোষিত ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকরা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর