নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১১ মে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রতটি জেলার জেলাশাসক ও স্বাস্থ্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। কোভিড (COVID 19) নিয়েই হবে এই বৈঠক। জানা গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনা হবে নবান্নে। বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। ১০ মে এই ঘোষণা করা হয়েছে নবান্ন থেকে।
রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সংক্রমণ রাজ্যে তেমন বাড়েনি। অতিমারি ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে বৃদ্ধি না পায়, সেজন্যই ডাকা হয়েছে এই বৈঠক। বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে আগেভাগেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১০ মে সোমবার জারি হয়ে গিয়েছে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তি। আজ বিকেলেই সেই বিজ্ঞপ্তি চলে গিয়েছে রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক ও স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশেষ সতর্কতা নিতেই এই বৈঠক করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ মে থেকে জেলা সফর শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেই শুরু হবে সফরের। প্রস্নগত, পিছিয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জেলা সফর। আগামী ১০, ১১, ১২ মে জেলা সফরের বদলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সফরে আসছেন আগামী ১৭, ১৮, ১৯ মে। অশনি ঘূর্ণিঝড়ের কারণেই পিছিয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর।
জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ মে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যাচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরে। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক ও দলীয় বৈঠক করবেন ১৯ মে পর্যন্ত। জেলা সফরে প্রথমদিন প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয় দিন তৃণমূল সুপ্রিমো করবেন দলীয় বৈঠক। দুই জেলার ক্ষেত্রেই একই কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে আরও নতুন কি থাকছে? জেনে নিন। আগামী ১৭ মে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৮ মে মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট মাঠে বুথস্তরে দলীয় বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ওইদিনই তিনি রওনা হবেন ঝাড়গ্রাম জেলার উদ্দেশ্যে।
আগামী ১৮ মে বিকেলে ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরের দিন আগামী ১৯ মে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে তৃণমূল সুপ্রিমোর রয়েছে দলীয় কর্মসূচি। দুই জেলার বুথ লেভেল, বুথ সভাপতি, পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূলের দলনেত্রী। জানা গিয়েছে, সম্ভবত আগামী ২০ মে থেকে ব্লক ও জেলা স্তরের সংগঠনের পুনর্গঠন হবে।