নিজস্ব প্রতিনিধি: গঙ্গা-পদ্মা আর ফুলহার নদীর গ্রাসে তলিয়ে যাচ্ছে সীমান্তবর্তী মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বিস্তীর্ণ গ্রাম। চাষের জমি থেকে বসতভিটে-সব গিলে নিচ্ছে তিন নদী। সেই ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে শুক্রবার ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলশক্তি মন্ত্রক যাতে এ বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেই আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তিন জেলায় নদী ভাঙনের সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘ফরাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের নির্মাণের জেরে নদীর গতিপথ বদল হয়েই গত দু’দশক ধরে ভাঙন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তিন জেলা। ২০০৫ সালে ফরাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের দু’দিকে মোট ১২০ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধ এবং নদী পাড় সুরক্ষিত করার আওতায় নিয়ে এসেছিল কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক৷ কিন্তু ২০১৭ সালে একতরফা ভাবে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কেন্দ্র৷ ফলে নদী ভাঙন আটকানোর কাজও ব্যাহত হয়৷’
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘গত ১৫ বছরে তিন জেলার প্রায় ২৮০০ হেক্টর কৃষি জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে৷ সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এক হাজার টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে৷ রাজ্যের তরফে একাধিকবার কেন্দ্রকে নদী ভাঙন রোধে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করা হলেও কাজ হয়নি৷ ‘গঙ্গা–পদ্মার দু’পাড় সংলগ্ন ৩৭টি জায়গায় অবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা প্রয়োজন৷ যার জন্য প্রায় ৫৭১ কোটি টাকা দরকার।’ ভাঙন সমস্যা রোধে কেন্দ্রের কাছ থেকে যে প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্য মিলছে না তা উল্লেখ করে মমতা লিখেছেন, ‘জলশক্তি মন্ত্রক দায়িত্ব না নেওয়ায় রাজ্যের তরফেই প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা খরচ করে নদী ভাঙন রোধের কাজ শুরু করা হয়েছে৷’ রাজ্যের পক্ষে যে এত বিপুল অর্থ ব্যয় কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন মু্খ্যমন্ত্রী৷