এই মুহূর্তে




বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় Logistics Master Plan বানাচ্ছে রাজ্য সরকার

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: যতদিন যাচ্ছে কলকাতা(Kolkata) ও শহরতলি এলাকায় জনসংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। যানজটও বাড়ছে। এই অবস্থায় যানজট কমিয়ে শহরের গতি বাড়াতে হলে যেটা আশু প্রয়োজন তা হল রাস্তা চওড়া করা এবং রাস্তার সংখ্যা বাড়ানো। কিন্তু এই দুই পথই কার্যত বন্ধ কলকাতা ও শহরতলি এলাকায়। এই অবস্থায় রাস্তায় যানবাহনের চাপ সামাল দেওয়ার জন্যে বিকল্প হিসাবে জলপথকেই এখন পাখির চোখ করছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। বিশেষ করে পণ্য পরিবহণের(Goods Transportation) ক্ষেত্রে জলপথকে(Waterways) ব্যবহার করতে চাইছে নবান্ন। জলপথে পণ্য পরিবহণ কী ভাবে আরও বাড়ানো যায়—তার রূপরেখা তৈরি করতে বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায়(Financial Help of World Bank) Logistics Master Plan বানাচ্ছে রাজ্য সরকার।

নবান্ন সূত্রের খবর, ২০৫০ সালে রাজ্যের জনসংখ্যা কোন জায়গায় পৌঁছতে পারে, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই কলকাতা মেট্রোপলিটান এলাকায় জলপথ পরিবহণকে আরও আধুনিক করার পরিকল্পনা হয়েছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে প্রকল্প রূপায়ণ করবে পরিবহণ দফতর। রাজ্যে শিল্প-বাণিজ্যের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে অপ্রতুল পরিবহণ পরিকাঠামো। দিনকে দিন গাড়ির সংখ্যা বাড়লেও রাস্তা সে ভাবে বাড়ছে না। আর কয়েক বছরের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে Eastern Freight Corridor, যার অন্যতম কেন্দ্রস্থল হল হুগলি জেলার ডানকুনি। এর ফলে কলকাতা মেট্রোপলিটান এলাকায় পণ্য পরিবহণের পরিমাণ আরও বাড়বে। কলকাতার জলপথকে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারলে সেই চাহিদা অনেকটাই মেটানো যাবে। তাতে পণ্য পরিবহণের খরচও কমবে। তার জন্যে বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে একটি Logistics Master Plan তৈরি করছে সরকার। সেই মতো কলকাতা এবং তার আশপাশে জলপথ পরিবহণকে ঢেলে সাজানো হবে।

সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, কলকাতা মেট্রোপলিটান এলাকায় জলপথে কোন কোন পণ্য নিয়ে যাওয়া যেতে পারে, সেগুলিকে প্রথমে চিহ্নিত করা হবে। পণ্য পরিবহণে কী ধরনের জলযান ব্যবহার করা যেতে পারে—তারও তালিকা তৈরি করা হবে। কলকাতার জলপথে পণ্য পরিবহণ বাড়াতে গেলে Digital Infrastructure সহ কী ধরনের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার, সেটাও অনুসন্ধান করে দেখবে বিশেষজ্ঞ সংস্থা। পরিকাঠামো তৈরি ও উন্নয়নে আনুমানিক কত টাকা খরচ হতে পারে, সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, তারও রূপরেখা থাকবে Logistics Master Plan-এ। রাস্তায় দূষণ কমাতে ব্যাটারি অথবা ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি কিংবা বায়ো-ডিজেল চালিত গাড়ির ব্যবহার কী ভাবে বাড়ানো যায় এবং কলকাতা বন্দর থেকে জলপথে কী ভাবে অন্যত্র পণ্য পরিবহণ করা যায়, তারও দিকনির্দেশ থাকবে Logistics Master Plan-এ। রাজ্যে জলপথে পণ্য পরিবহণ বাড়াতে সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত জায়গায় রো-রো ভেসেল পরিষেবা চালু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। অনেক নতুন জেটি তৈরি হচ্ছে। রাস্তায় যে ভাবে গাড়ির চাপ বাড়ছে তাতে জলপথই বিকল্প। তার জন্যেই Logistics Master Plan তৈরি করা হচ্ছে, অভিমত নবান্নের আধিকারিকদের।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সকালে পারদ নামল ১৩.৮ ডিগ্রিতে, আজ মরসুমের শীতলতম দিন

বৈঠকে বনসলের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়করা

চিন্ময় প্রভুকে নিয়ে ইসকনের পাশে দাঁড়াতে চায় অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা

কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সেরার তকমা দিল কেন্দ্রীয় সংস্থা আইসিএমআর

ফের ব্যস্ত সময়ে এসপ্ল্যানেড মেট্রো ষ্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা , ব্যাহত পরিষেবা

বাংলা শিক্ষার প্রাধান্য অবশ্যই দিতে হবে : প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর