নিজস্ব প্রতিনিধি: বিগত তিনবছর ধরে বেহালার বড়িশা ক্লাবের পুজো তাক লাগাচ্ছে শহরের বাকি পুজোগুলিতে। বেহালার পুজো ছাপিয়ে যাচ্ছে শহর কলকাতার উত্তর ও দক্ষিণের পুজো গুলিকে। এবছরেও তাক লাগিয়েছে বেহালার বড়িশার ক্লাবের পুজো। শিলীপ রিন্টু দাসের থিম ছিল ‘ভাগের মা’। দেশজুড়ে লকডাউনে পরিযায়ীদের খারাপ অবস্থা নিয়ে গতবছরেই যে থিম শিল্পী উপহার দিয়েছিলেন তারই চলতি বছরের লকডাউনের ফলে পরিযায়ী কিংবা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা শ্রমিকদের দূরবস্থা নিজের হাতে ফুটিয়ে তুলেছিলেন রিন্টু দাস। যা চলতি বছরে আমজনতা থেকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর কাড়ে। সেই তালিকায় নাম ছিল জিন্দল গোষ্ঠীর পরিবারের সদস্যা সঙ্গীতা জিন্দল। বড়িশা ক্লাবে ঠাকুর দেখতে এসেই তাঁদের প্রতিমা পছন্দ হয়ে যায়। চিন্তাভাবনা শুরু হয় এই প্রতিমা সংরক্ষণ করবেন তারা।
আর গত শুক্রবার জিন্দল গোষ্ঠী জানিয়েছে বড়িশা ক্লাবের চলতি বছরের থিম তাঁরা সংরক্ষণ করছেন। জিন্দল গোষ্ঠীর কর্তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও শিল্পীর সঙ্গে। ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারপরেই ক্লাবের তরফে ও শিল্পীর তরফে সবুজ সঙ্কেত মিলতেই জিন্দাল গোষ্ঠী সংরক্ষণ করবেন এই প্রতিমা বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার জিন্দল গোষ্ঠীর পক্ষে প্রতিমা সংরক্ষণের বিষয়ে চূড়ান্ত কথা হয়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন বড়িশা ক্লাবের কর্তারা। সূত্রের খবর, প্রতিমাটি আপাতত সংরক্ষিত থাকবে জিন্দল গোষ্ঠীর শালবনির একটি দফতরে। নিউটাউনে জিন্দল গোষ্ঠী একটি সংগ্রহশালা তৈরি করছে। সংগ্রহশালাটি তৈরি হলে গেলে বড়িশা ক্লাবের ‘ভাগের মা’ স্থান পাবে সেখানেই। ১৭ তারিখ অর্থাৎ রবিবার সেই প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনে এসেই আমাদের পুজোর প্রশংসা করেছিলেন। সেটাই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় পুরস্কার। তবে জিন্দল গোষ্ঠী যখন আমাদের প্রতিমা সংরক্ষণ করে তাদের সংগ্রহশালায় রাখার প্রস্তাব দিল, তখন আমরা তাতে আপত্তি করিনি। শিল্প তাঁর যথার্থ মর্যাদা পাক আমরা সব সময় চাই।’ এর আগে ২০১৯ ও ২০২০ প্রতিমা সংরক্ষণ করেছিল রাজ্য সরকার। যার একটি রয়েছে নিউটাউনের রাস্তায় আর একটি রয়েছে ইকো পার্কে।