এই মুহূর্তে




কিছুতেই বশে থাকছে না রাগ?  ১১ কাজে হবে মুশকিল আসান




নিজস্ব প্রতিনিধি : আনন্দ, দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রনা, ভালবাসার মতই রাগও একটা আবেগ। একেকটি আবেগ মানুষের মধ্যে একেক রকমের প্রভাব ফেলে। রাগও সেইভাবে প্রভাব ফেলে মানুষের মধ্যে। প্রথমে মনে রকে শরীরেও তার প্রভাব পড়ে। জীবনে রাগ যতটা থাকবে, সমস্যা তত বাড়বে। রাগের কারণেই ভাল কাজো ভেস্তে যেতে পারে। তাই রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে জানতে হবে।

গীতায় শ্রীকৃষ্ণ এই রাগের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, রাগ মানুষের পতনের অন্যতম কারণ। মাত্রাছাড়া রাগ জীবনে অনেক সমস্যা ডেকে আনে। যে কোনও উপায়ে রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা দরকার। রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইলে বিশেষ কিছু দিকে নজর দিতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক-

  • কোনও ক্ষেত্রে রাগ হলে প্রথম মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরিস্থিতি বুঝতে হবে। বেশি রাগ হলে দ্রুত সেই জায়গা থেকে সরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ। যে বিষয়টিতে রাগ, সেখান থেকে সরে থাকলে রাগ বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে অনেক সময় হতে পারে, রাগের সময় জায়গা থেকে সরে আসা সম্ভব নয়, তখন নিজের অবস্থান বদল করুন। দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পড়ুন। বসে থাকলে দাঁড়িয়ে পড়ুন। একটু সরে গিয়েও দাঁড়াতে পারেন।

 

  • নিজের কাজ থেকে সাময়িক বিরতি নিন। সামান্য নীরবতা রাগ কমাতে সাহায্য করে। নিজেকে কিছু সময়ের জন্য আলাদা রাখুন। এতে নিজের সঙ্গে নিজের একটা লড়াই চলতে থাকে। সাময়িক বিরতি, সেই লড়াইকে শান্ত করতে সাহাষ্য করে।

 

  • কী পরিস্থিতিতে রাগ হচ্ছে, সেই সময় কী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, নিজের অনুভূতির কথা খাতায় লিখে রাখুন। রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে কী করতে চাইছেন লিখে ফেলুন। সেই বার বার পড়লে রাগ নিয়ন্ত্রিত হবে।

 

  • রাগ বেড়ে গেলে দ্রুত হাঁটুন বা দৌড়ান। শারিরীক কসরত করলে নিজের অজান্তেই রাগ নিয়ন্ত্রিত হয়। ঘাড় ও কাঁধের ব্যায়াম রাগ কমাতে সাহায্য করে। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

 

  • রাগ বাড়লে নাক দিয়ে ধীরে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ছাড়ুন। অথবা সংখ্যা গুণতে পারেন। রাগ বেশি হলে ১০০ পর্যন্ত গুণতে থাকুন। এরফলে হৃৎস্পন্দন ধীর হবে এবং রাগ অনেকটাই কমে আসবে। চোখ বন্ধ করে নিজেকে একটু সময় দিতে হবে।

 

  • রাগ অনেক বেশি হলে ১০০ থেকে ১ পর্যন্ত গুনতে শুরু করুন। এই প্রক্রিয়াটি রাগ নিয়ন্ত্রণে সত্যিই ভাল কাজ করে। এই পদ্ধতি সাময়িকভাবে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে মনোযোগকে সরিয়ে নেতিবাচক চিন্তা দূর করতে সাহায্য করবে।

 

  • যে কারণে রাগ হয়েছে, সেগুলো খুঁজে বের করে নির্ধারণ করুন। কিসের ওপর রাগ হয়েছে, সেটা ভুলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। সমস্যা সমাধানের জন্য কথা বলা ্ত্যন্ত প্রয়োজন সেটাই করুন।

 

  • ক্ষমা করতে পারলে রাগ আপনাআপনি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক অনুভূতি দিয়ে চাপা দিতে পারলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এতে নিজের তিক্ততা বা অন্যায়ের অনুভূতি ভুলে থাকা সম্ভব। যার ওপরে রাগ, তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করে নিতে হবে।

 

  • রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্যের দরকার। সেই সাহায্যের কখন দরকার সেটা জানতে হবে। রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শেখা মাঝে মাঝে চ্যালেঞ্জের বিষয় হতে পারে। রাগের সমস্যা সমাধানের জন্য সাহায্য নিতে হবে।

 

  • রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে মনকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে হবে। রাগের সময় মনকে শান্ত করতে ভিন্ন কোনও দিকে মন দিলে রাগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে। খুব ভালো বন্ধুর সঙ্গে রাগের কারণ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এরফলে নতুন ভাবনা মনে আসতে পারে। গান শুনতে পারেন, কোনও কিছু লেখালেখি করতে পারেন। এতে রাগ সহজে দূর হবে। সৃষ্টিশীল কিছুর মাধ্যমে রাগ প্রকাশ

 

  • রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্রামের খুব প্রয়োজন। তাই অতিরিক্ত চাপ না নিয়ে বিশ্রাম নিন। নিজের মন যেদিকে চায় সেই মতো কাজ করুন।

 

  • কোনও পদ্ধতি কাজে না দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। একজন থেরাপিস্টের সাহায্য নিন। মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা কোনও যন্ত্রণা রাগ বাড়িতে তুলতে পারে। সেটা চিকিৎসকই ঠিক করতে পারেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে লটারিপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে কিছু রাশির জাতকদের, তারা কারা?

বর্ষায় ঘুরে আসুন ছত্তিশগড়ে, থাকছে রাজার সঙ্গে ডিনারের অফারও

খেজুরের সঙ্গে কোন খাবারগুলি খেলে বাড়তি সুফল মিলবে?

ইউরিক অ্যাসিডকে বশে রাখতে নজর দিন খাদ্যতালিকায়

ফকির থেকে হবেন রাজা, ফিটকিরির অলৌকিক জাদুতে বদলে যেতে পারে আপনার ভাগ্য

জানেন কী শ্রাবণে জন্মগ্রহণকারীরা সর্বদা শিবের আশীর্বাদ পান?

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ