আগামী দিনে আপনি নিজেকে কিভাবে দেখতে চান, আপনি জানেন কি?
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: আপনি যদি সফল হতে চান, তবে আপনার জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা দরকার। লক্ষ্য নির্ধারণ কেবল আপনার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ ই করবে না, আপনি প্রকৃতপক্ষে সাফল্য অর্জন করছেন কিনা তা নির্ধারণের জন্য এটি একটি মানদণ্ড। এর সম্পর্কে চিন্তা করুন।
শুধুমাত্র 'আমি চাই' বা 'আমার ইচ্ছে' বললেই হয় না। সাবধানতার সাথে লক্ষ্য নির্বাচন করে, আপনি কি অর্জন করতে চান তার পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে হবে।
সাফল্যের লক্ষ্য পূরণের জন্য রইল আটটি টিপস
১) এমন লক্ষ্য স্থির করুন যা আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে। অর্থাৎ এটি আপনার কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং সেগুলি অর্জনের কোনো মূল্য আপনার কাছে রয়েছে। আপনার লক্ষ্যটি যে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান সেটা নিশ্চিত করার জন্য নিজেকে প্রশ্ন করুন। নিজের দক্ষতার ওপর আস্থা রাখুন।
২) আপনার লক্ষ্যটি অবশ্যই স্পষ্ট এবং ভালোভাবে সংজ্ঞায়িত হতে হবে। লক্ষ্য পূরণের পর আপনি কিরূপ ফলাফলের সম্মুখীন হবেন, সেই সম্পর্কেও ধারণা, স্পষ্ট এবং বাস্তব সম্মত হতে হবে।
৩) পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আপনার লক্ষ্যে, সুনির্দিষ্ট পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত করুন যাতে আপনি আপনার সাফল্যের ডিগ্রিটি পরিমাপ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার লক্ষ্যটি যদি শুধু "ব্যয় হ্রাস করতে হবে" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তবে আপনি কি করে সফল হবেন তা কীভাবে জানবেন? কিন্তু যদি, এক মাসে যদি আপনার দশ শতাংশ হ্রাস হয়, এটা জানেন, তাহলে আপনার বছরে কত হ্রাস হবে, এর হিসেব আপনি খুঁজে পাবেন।
৪) এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করুন যা বাস্তবে অর্জন করা সম্ভব। যদি এমন একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেন যা আপনার অর্জনের কোনো সম্ভাবনা নেই, তাহলে আপনি নিজেকে হতাশ করবেন এবং আপনার আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে।
তবে তার মানে এই নয় যে সব সময় খুব সহজে লাভ করা সম্ভব এমন লক্ষ্যই নির্ধারণ করবেন। যে লক্ষ্য অর্জন করতে ঝুঁকি নিতে হয়, এমন লক্ষে পৌঁছালেও একটি ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি পাওয়া যায়।
৫) প্রাসঙ্গিক লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আপনার জীবন এবং ক্যারিয়ারে, আপনি যে দিকে যেতে চান, লক্ষ্যগুলি সেইদিকে প্রাসঙ্গিক হতে হবে। বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা লক্ষ্যগুলি সরিয়ে রেখে, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী লক্ষ্য স্থির করুন।
৬) আপনার লক্ষ্যগুলির অবশ্যই একটি সময়সীমা থাকতে হবে। এর অর্থ হল আপনি কখন সাফল্য উদযাপন করতে পারবেন, তা জানবেন। আপনি যখন একটি সময়সীমা মেনে কাজ করছেন, তখন আপনার তাৎক্ষণিকতার অনুভূতি বৃদ্ধি পায় এবং কৃতিত্বও এতে দ্রুত আসে।
৭) লক্ষ্যটি শুধু মনের মধ্যে না রেখে, লিখে ফেলুন। সেটি ইতিবাচক এবং সুনিশ্চিত ভাবে সম্পন্ন করার কাঠামোতে লিখুন। একটি করণীয় তালিকা তৈরি করুন। সবার আগে যেটি করতে হবে, সেটি সেখানে প্রথম স্থান পাবে।
আপনার ইচ্ছা, প্রতিদিন নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনার লক্ষ্যগুলি দৃশ্যমান জায়গায় রাখুন, যেমন, আপনার দেয়াল, ডেস্ক, কম্পিউটার মনিটর, বাথরুমের আয়না বা রেফ্রিজারেটর।
৮) একটি কাজের পরিকল্পনা করুন। স্বতন্ত্র পদক্ষেপগুলি লিখে রাখুন। লিখে রাখলে, প্রতিটি শেষ করার সাথে সাথে , আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে কতটা এগিয়েছেন। আপনার লক্ষ্যটি যদি বড় বা দীর্ঘমেয়াদী হয়, তবে এটি বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বোপরি লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলা কালিন সময়ে, কিছুটা সফল হলে, নিজেকে পুরস্কৃত করুন। আবার কিছুটা এগোলে, আবারও নিজেকে পুরস্কৃত করুন। এইভাবে এগিয়ে চলুন। এতে আত্মতৃপ্তি ও উৎসাহ বাড়বে।
লেখক : পুষ্পিতা মুখার্জি (মনোবিদ ও শিক্ষিকা)
শুধুমাত্র 'আমি চাই' বা 'আমার ইচ্ছে' বললেই হয় না। সাবধানতার সাথে লক্ষ্য নির্বাচন করে, আপনি কি অর্জন করতে চান তার পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে হবে।
সাফল্যের লক্ষ্য পূরণের জন্য রইল আটটি টিপস
১) এমন লক্ষ্য স্থির করুন যা আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে। অর্থাৎ এটি আপনার কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং সেগুলি অর্জনের কোনো মূল্য আপনার কাছে রয়েছে। আপনার লক্ষ্যটি যে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান সেটা নিশ্চিত করার জন্য নিজেকে প্রশ্ন করুন। নিজের দক্ষতার ওপর আস্থা রাখুন।
২) আপনার লক্ষ্যটি অবশ্যই স্পষ্ট এবং ভালোভাবে সংজ্ঞায়িত হতে হবে। লক্ষ্য পূরণের পর আপনি কিরূপ ফলাফলের সম্মুখীন হবেন, সেই সম্পর্কেও ধারণা, স্পষ্ট এবং বাস্তব সম্মত হতে হবে।
৩) পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আপনার লক্ষ্যে, সুনির্দিষ্ট পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত করুন যাতে আপনি আপনার সাফল্যের ডিগ্রিটি পরিমাপ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার লক্ষ্যটি যদি শুধু "ব্যয় হ্রাস করতে হবে" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তবে আপনি কি করে সফল হবেন তা কীভাবে জানবেন? কিন্তু যদি, এক মাসে যদি আপনার দশ শতাংশ হ্রাস হয়, এটা জানেন, তাহলে আপনার বছরে কত হ্রাস হবে, এর হিসেব আপনি খুঁজে পাবেন।
৪) এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করুন যা বাস্তবে অর্জন করা সম্ভব। যদি এমন একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেন যা আপনার অর্জনের কোনো সম্ভাবনা নেই, তাহলে আপনি নিজেকে হতাশ করবেন এবং আপনার আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে।
তবে তার মানে এই নয় যে সব সময় খুব সহজে লাভ করা সম্ভব এমন লক্ষ্যই নির্ধারণ করবেন। যে লক্ষ্য অর্জন করতে ঝুঁকি নিতে হয়, এমন লক্ষে পৌঁছালেও একটি ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি পাওয়া যায়।
৫) প্রাসঙ্গিক লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আপনার জীবন এবং ক্যারিয়ারে, আপনি যে দিকে যেতে চান, লক্ষ্যগুলি সেইদিকে প্রাসঙ্গিক হতে হবে। বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা লক্ষ্যগুলি সরিয়ে রেখে, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী লক্ষ্য স্থির করুন।
৬) আপনার লক্ষ্যগুলির অবশ্যই একটি সময়সীমা থাকতে হবে। এর অর্থ হল আপনি কখন সাফল্য উদযাপন করতে পারবেন, তা জানবেন। আপনি যখন একটি সময়সীমা মেনে কাজ করছেন, তখন আপনার তাৎক্ষণিকতার অনুভূতি বৃদ্ধি পায় এবং কৃতিত্বও এতে দ্রুত আসে।
৭) লক্ষ্যটি শুধু মনের মধ্যে না রেখে, লিখে ফেলুন। সেটি ইতিবাচক এবং সুনিশ্চিত ভাবে সম্পন্ন করার কাঠামোতে লিখুন। একটি করণীয় তালিকা তৈরি করুন। সবার আগে যেটি করতে হবে, সেটি সেখানে প্রথম স্থান পাবে।
আপনার ইচ্ছা, প্রতিদিন নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনার লক্ষ্যগুলি দৃশ্যমান জায়গায় রাখুন, যেমন, আপনার দেয়াল, ডেস্ক, কম্পিউটার মনিটর, বাথরুমের আয়না বা রেফ্রিজারেটর।
৮) একটি কাজের পরিকল্পনা করুন। স্বতন্ত্র পদক্ষেপগুলি লিখে রাখুন। লিখে রাখলে, প্রতিটি শেষ করার সাথে সাথে , আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে কতটা এগিয়েছেন। আপনার লক্ষ্যটি যদি বড় বা দীর্ঘমেয়াদী হয়, তবে এটি বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বোপরি লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলা কালিন সময়ে, কিছুটা সফল হলে, নিজেকে পুরস্কৃত করুন। আবার কিছুটা এগোলে, আবারও নিজেকে পুরস্কৃত করুন। এইভাবে এগিয়ে চলুন। এতে আত্মতৃপ্তি ও উৎসাহ বাড়বে।
লেখক : পুষ্পিতা মুখার্জি (মনোবিদ ও শিক্ষিকা)
More News:
25th February 2021
25th February 2021
25th February 2021
24th February 2021
23rd February 2021
23rd February 2021
23rd February 2021
23rd February 2021
22nd February 2021
22nd February 2021
Leave A Comment