Burn-out কীভাবে প্রতিরোধ করবেন? চিনে নিন লক্ষণ গুলি
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি : অনেক সময় নিয়মিতভাবে স্ট্রেসের সম্মুখীন হওয়া সত্বেও ব্যক্তি তার কাজকর্ম চালিয়ে যায়। কিন্তু সময় অতিক্রমণের সাথে সাথে তাদের কর্ম ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। তখন বলা হয় যে ব্যক্তি burn-out এ আক্রান্ত। এক্ষেত্রে ব্যক্তি দৈহিক শক্তির দিক থেকে নিঃশেষিত হয়ে পড়ে, ক্লান্ত হয়ে পড়ে, ব্যক্তির মধ্যে মাথা ধরা, বমি বমি ভাব, অনিদ্রা, ইত্যাদি লক্ষণগুলো দেখা যায়। প্রাক্ষোভিক দিক থেকেও সে নিঃশেষিত হয়ে পড়ে। বিষাদ, অসহায়ত্ব ইত্যাদি অনুভূতি ব্যক্তিকে গ্ৰাস করে। এই মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ নিঃশেষিত হয়ে যাওয়া, ব্যক্তির পারদর্শিতাকেও প্রভাবিত করে।
প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে, পীড়ন বা স্ট্রেস এর উপস্থিতি অনিবার্য। পরিবার, কর্মক্ষেত্র, বৃহত্তর পরিবেশ, ব্যক্তিগত জীবন, সব ক্ষেত্রেই বিভিন্ন কারণে ব্যক্তি স্ট্রেসের সম্মুখীন হয়। এই স্তরে পৌঁছে গেলে ব্যক্তির পক্ষে কিছু করার থাকে না। কিন্তু burn-out হঠাৎ করে একদিনে হয় না। দেহ এবং মন বারবার সতর্ক করতে থাকে। খুব দেরি হওয়ার আগে, আপনিও এটি শনাক্ত করতে পারবেন।
প্রধানত তিনটি উপসর্গ বারবার জানান দিতে থাকে।
প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে, পীড়ন বা স্ট্রেস এর উপস্থিতি অনিবার্য। পরিবার, কর্মক্ষেত্র, বৃহত্তর পরিবেশ, ব্যক্তিগত জীবন, সব ক্ষেত্রেই বিভিন্ন কারণে ব্যক্তি স্ট্রেসের সম্মুখীন হয়। এই স্তরে পৌঁছে গেলে ব্যক্তির পক্ষে কিছু করার থাকে না। কিন্তু burn-out হঠাৎ করে একদিনে হয় না। দেহ এবং মন বারবার সতর্ক করতে থাকে। খুব দেরি হওয়ার আগে, আপনিও এটি শনাক্ত করতে পারবেন।
প্রধানত তিনটি উপসর্গ বারবার জানান দিতে থাকে।
১) শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি
২) সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ইচ্ছা
৩) অকার্যকরতার উপলব্ধি
২) সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ইচ্ছা
৩) অকার্যকরতার উপলব্ধি
১) শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তির লক্ষণ
ক) দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি - প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি শক্তির অভাব বোধ করতে পারেন এবং দিনের বেশিরভাগ সময় ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। পরবর্তী পর্যায়ে হতাশাগ্রস্ত বোধ করতে পারেন এবং যে কোনও দিন কিছু একটা ঘটবে, এরকম একটা ভয়ের অনুভূতি কাজ করতে পারে।
খ) অনিদ্রা - প্রাথমিক পর্যায়ে সপ্তাহে এক বা দুই রাত্রে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। পরবর্তী পর্যায়ে, অনিদ্রা একটি অবিরাম ধারায় চলতে থাকে যেখানে ক্লান্ত বোধ করলেও আপনি ঘুমাতে পারেন না।
গ) ভুলে যাওয়া - হালকা ভুলে যাওয়া প্রাথমিক লক্ষণ। পরে, সমস্যাগুলি এমন পর্যায়ে যেতে পারে, যেখানে ভুলে যাওয়ার জন্য নিজের কাজ শেষ করতে অসুবিধে হয়।
ঘ) শারীরিক লক্ষণ - শারীরিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে, বুকে ব্যথা, ধড়ফড়ানি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা।
ঙ) খিদে কমে যাওয়া - প্রাথমিক পর্যায়ে খিদে কম পায়। পরবর্তী পর্যায়ে খিদে একেবারে কমে যাওয়া এবং ওজন কমে যাওয়া।
চ) উদ্বেগ - শুরুর দিকে, সামান্য পরিমাণ উদ্বেগ থাকে কিন্তু ধীরে ধীরে উদ্বেগ বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে চলে যায়, সেখানে দৈনন্দিন এবং কর্মক্ষেত্রে কাজ ব্যাহত হয়।
ছ) হতাশা - একটা অযোগ্যতা এবং অপরাধবোধ কাজ করতে থাকে, যার ফলে হতাশ লাগে এবং এটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
জ) রাগ - প্রথমে একটা আন্তঃব্যক্তিক উত্তেজনা এবং খিটখিটে ভাব হতে পারে। পরবর্তী পর্যায়ে,এটি বাড়তে থাকে।
খ) অনিদ্রা - প্রাথমিক পর্যায়ে সপ্তাহে এক বা দুই রাত্রে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। পরবর্তী পর্যায়ে, অনিদ্রা একটি অবিরাম ধারায় চলতে থাকে যেখানে ক্লান্ত বোধ করলেও আপনি ঘুমাতে পারেন না।
গ) ভুলে যাওয়া - হালকা ভুলে যাওয়া প্রাথমিক লক্ষণ। পরে, সমস্যাগুলি এমন পর্যায়ে যেতে পারে, যেখানে ভুলে যাওয়ার জন্য নিজের কাজ শেষ করতে অসুবিধে হয়।
ঘ) শারীরিক লক্ষণ - শারীরিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে, বুকে ব্যথা, ধড়ফড়ানি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা।
ঙ) খিদে কমে যাওয়া - প্রাথমিক পর্যায়ে খিদে কম পায়। পরবর্তী পর্যায়ে খিদে একেবারে কমে যাওয়া এবং ওজন কমে যাওয়া।
চ) উদ্বেগ - শুরুর দিকে, সামান্য পরিমাণ উদ্বেগ থাকে কিন্তু ধীরে ধীরে উদ্বেগ বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে চলে যায়, সেখানে দৈনন্দিন এবং কর্মক্ষেত্রে কাজ ব্যাহত হয়।
ছ) হতাশা - একটা অযোগ্যতা এবং অপরাধবোধ কাজ করতে থাকে, যার ফলে হতাশ লাগে এবং এটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
জ) রাগ - প্রথমে একটা আন্তঃব্যক্তিক উত্তেজনা এবং খিটখিটে ভাব হতে পারে। পরবর্তী পর্যায়ে,এটি বাড়তে থাকে।
২) বিচ্ছিন্নতার লক্ষণ - বিচ্ছিন্নতা হলো অন্যের কাছ থেকে বা পরিবেশ থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার একটি অনুভূতি। দৈনন্দিন জীবনে, কর্মক্ষেত্রে উপভোগ করার আগ্রহ কমতে থাকে। সামাজিকীকরণ কমতে থাকে। হতাশা ও নেতিবাচক মনোভাব বাড়তে থাকে।
৩) অকার্যকরতার উপলব্ধি - নিজেকে গুরুত্বহীন বা অকেজো বলে মনে হয়। মনে হয় যে, কোনো কাজেই ঠিক করে করা হয়ে ওঠছে না। নিজেকে দুর্বল এবং কর্মক্ষমতাহীন মনে হয়। এটি দীর্ঘ সময় স্থায়ী হলে, মানসিক চাপ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
এই সতর্কতামূলক লক্ষণগুলি মাথায় রাখলে Burn-out স্তরে পৌঁছনোর আগেই আপনি নিজেকে সামলাতে পারবেন। এই সবকটি লক্ষণই কোনো না কোনো সময়ে প্রত্যেকেরই মনে হয়। তবে এর দীর্ঘ স্থায়িত্ব এবং দৈনন্দিন ও কর্মক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের পরিমাণই, সমস্যা নির্ধারণ করে।
লেখক : পুষ্পিতা মুখার্জি (মনোবিদ ও শিক্ষিকা)
৩) অকার্যকরতার উপলব্ধি - নিজেকে গুরুত্বহীন বা অকেজো বলে মনে হয়। মনে হয় যে, কোনো কাজেই ঠিক করে করা হয়ে ওঠছে না। নিজেকে দুর্বল এবং কর্মক্ষমতাহীন মনে হয়। এটি দীর্ঘ সময় স্থায়ী হলে, মানসিক চাপ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
এই সতর্কতামূলক লক্ষণগুলি মাথায় রাখলে Burn-out স্তরে পৌঁছনোর আগেই আপনি নিজেকে সামলাতে পারবেন। এই সবকটি লক্ষণই কোনো না কোনো সময়ে প্রত্যেকেরই মনে হয়। তবে এর দীর্ঘ স্থায়িত্ব এবং দৈনন্দিন ও কর্মক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের পরিমাণই, সমস্যা নির্ধারণ করে।
লেখক : পুষ্পিতা মুখার্জি (মনোবিদ ও শিক্ষিকা)
More News:
24th January 2021
23rd January 2021
23rd January 2021
21st January 2021
29th December 2020
‘ফ্রোজেন ফুড’ রান্না সহজ করলেও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি থেকে যায়!
24th December 2020
21st December 2020
19th December 2020
কেউ আপনার সমালোচনা করলে খুব বিচলিত হয়ে যান? কিভাবে মোকাবিলা করবেন?
17th December 2020
Leave A Comment