দায়িত্ব ও স্বাধীনতা... দেখে নিন আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বাধীনতা নিজের জন্য একটি স্বতন্ত্রতা যা চারিপাশের পরিবেশ কে আরো সবুজ আরো সুরেলা করে তোলে।স্বাধীনতা হল নিজের জীবন, নিজের কাজ, নিজের সময়সূচী নিজে নির্ধারণ করার ক্ষমতা। নিজের শর্তে বাঁচার অধিকার।
স্বাধীনতা এবং দায়িত্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দায়িত্ব বিহীন স্বাধীনতা হয় না। নিজে স্বাধীনভাবে জীবন অতিবাহিত করতে গেলে, নিজের প্রতিটি কাজ ও ভাবনার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয়। দায়িত্ব ব্যতীত স্বাধীনতা অবশ্যই প্রলুব্ধকর, তবে এমন মানুষ খুব কম আছেন, যাঁরা আপনার যত্নও নেবেন এবং আপনার কাজের জন্যও দায়িত্ব নেবেন।
আবার স্বাধীনতা ছাড়া দায়বদ্ধতায় খুব মানসিক চাপ, যেখানে মনে হয় জীবন আটকে পড়েছে এক কারাগারে। সর্বোপরি স্বাধীনতা এবং দায়িত্ব কেউ দেয় না, নিয়ে নিতে হয়। আবার স্বাধীনতা ভোগ করেও যদি দায়িত্ব ঠিক করে পালিত না হয়, সে ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, খুব কম মানুষ সত্যই স্বাধীনতা চান, কারণ তাঁদের অবচেতন কোথাও বলে যে, স্বাধীনতা এমন অনেক সমস্যা এনে দেবে যা তাঁরা মুখোমুখি হতে প্রস্তুত নন। আরামদায়ক কারাগারে থাকাই ভাল। খুব কম মানুষই হৃদয়ের গভীর নীরবতায় প্রবেশের স্বাধীনতা উপলব্ধি করতে চান। এর দুর্দান্ত প্রভাবের থেকে, তারা নিশ্চিৎ আরামদায়ক ভবিষ্যৎকেই বেশি প্রাধান্য দেন। কিন্তু আবার এই প্রাধান্য দেওয়ার পরবর্তী প্রতিটি পদক্ষেপে কোথাও অনুশোচনায় ও ভোগেন, যে যদি জীবনটা একটু অন্যরকম হতে পারতো!
কি করবেন
স্বাধীনতা এবং দায়িত্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দায়িত্ব বিহীন স্বাধীনতা হয় না। নিজে স্বাধীনভাবে জীবন অতিবাহিত করতে গেলে, নিজের প্রতিটি কাজ ও ভাবনার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয়। দায়িত্ব ব্যতীত স্বাধীনতা অবশ্যই প্রলুব্ধকর, তবে এমন মানুষ খুব কম আছেন, যাঁরা আপনার যত্নও নেবেন এবং আপনার কাজের জন্যও দায়িত্ব নেবেন।
আবার স্বাধীনতা ছাড়া দায়বদ্ধতায় খুব মানসিক চাপ, যেখানে মনে হয় জীবন আটকে পড়েছে এক কারাগারে। সর্বোপরি স্বাধীনতা এবং দায়িত্ব কেউ দেয় না, নিয়ে নিতে হয়। আবার স্বাধীনতা ভোগ করেও যদি দায়িত্ব ঠিক করে পালিত না হয়, সে ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, খুব কম মানুষ সত্যই স্বাধীনতা চান, কারণ তাঁদের অবচেতন কোথাও বলে যে, স্বাধীনতা এমন অনেক সমস্যা এনে দেবে যা তাঁরা মুখোমুখি হতে প্রস্তুত নন। আরামদায়ক কারাগারে থাকাই ভাল। খুব কম মানুষই হৃদয়ের গভীর নীরবতায় প্রবেশের স্বাধীনতা উপলব্ধি করতে চান। এর দুর্দান্ত প্রভাবের থেকে, তারা নিশ্চিৎ আরামদায়ক ভবিষ্যৎকেই বেশি প্রাধান্য দেন। কিন্তু আবার এই প্রাধান্য দেওয়ার পরবর্তী প্রতিটি পদক্ষেপে কোথাও অনুশোচনায় ও ভোগেন, যে যদি জীবনটা একটু অন্যরকম হতে পারতো!
কি করবেন
১) নিজেকে জানুন। নিজের ভাবনা এবং কাজের মধ্যে যদি ব্যবধান থাকে তাহলে সেটি লক্ষ্য করুন।
২) আপনার বিশ্বাস এবং অনুমানকে চ্যালেঞ্জ করুন। আপনার বিশ্বাসগুলি পর্যবেক্ষণ করুন এবং সেগুলি সম্পর্কে প্রশ্ন করতেও রাজি হন। মনোবিদ জড বলেছেন, প্রায়শই আমাদের মতামত এতটাই অভ্যাসগত হয় যে, আমরা অনুভব করি না যে সেগুলি সত্যিই নিজের মতকে প্রতিফলিত করছে কিনা।
৩) ইতিবাচক হন। এটি আত্মমর্যাদা বৃদ্ধির একটা শক্তিশালী উপায়, যেটি নিজেকে স্বনির্ভর করে তুলতে সাহায্য করে। এটি নিজের দক্ষতা এবং সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়। মনোবিজ্ঞানী র্যান্ডি প্যাটারসন বলেছেন, অন্যের আয়নায় নিজেকে দেখা বন্ধ করে, নিখুঁত হওয়ার ভান করা বন্ধ করে, এক্ষেত্রে আমরা নিজের অবস্থানেই নিজেকে দেখতে শিখি।
৪) নিজের ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নিজে নিতে শুরু করুন। এবং অবশ্যই তার ফলাফলকে ভোগ করার মানসিকতা ও রাখুন।
৫) আপনার চাহিদা সনাক্ত করুণ এবং তা পূরণ করুন। উদাহরণ স্বরূপ যদি আপনি একাকী বোধ করেন, তাহলে আপনার পছন্দের মানুষের সাথে ডিনারের পরিকল্পনা করুন এবং সেই মত কাজ করুন। নিজের প্রয়োজন নিজের মেটাতে শুরু করলে ধীরে ধীরে স্বনির্ভর হয়ে উঠবেন।
নিজের নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে, পরিবেশ পরিবর্তন করে, নিজের জীবনের সংজ্ঞা নিজেই রচনা করুন।
লেখক : পুষ্পিতা মুখার্জি (মনোবিদ ও শিক্ষিকা)
More News:
25th February 2021
25th February 2021
25th February 2021
24th February 2021
23rd February 2021
23rd February 2021
23rd February 2021
23rd February 2021
22nd February 2021
22nd February 2021
Leave A Comment