ফের নিস্ফলা বৈঠক, কৃষক নেতাদের হুমকি কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আশঙ্কাই সত্যি হলো। কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক সংগঠনের নেতাদের শুক্রবারের বৈঠকও নিস্ফলা রইল। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে যেমন অনড় কৃষক নেতারা, তেমনই কৃষি আইন প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তে অনড় মোদি সরকার। আর এদিনের বৈঠকে সরাসরিই কৃষক নেতাদের শীর্ষ আদালতের ভয় দেখিয়ে হুমকি দিয়েছেন কৃষক আন্দোলন সামলাতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে হওয়া কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। বৈঠকের মাঝপথে তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘এর পর সিদ্ধান্ত দেশের শীর্ষ আদালত নিলেই ভালো হবে।’
যদিও কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর শীর্ষ আদালতের ভয় দেখানো হুমকিকে পাত্তাই দেননি আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনের নেতারা। কৃষক নেতা রাজেশ টিকাইত ও হান্নান মোল্লা মন্ত্রীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন, ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার না করানো পর্যন্ত কারও কথায় আন্দোলন থেকে পিছু হঠব না।’ যদিও আগামী ১৫ জানুয়ারি ফের এক দফা বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে যুযুধান দু’পক্ষই।
নয়া কৃষি আইন নিয়ে গত নভেম্বর থেকেই কার্যত সন্মুখসমরে কেন্দ্র ও দেশের ৪০টি কৃষক সংগঠন। ঘন্টার পর ঘন্টা, দফায়-দফায় বৈঠকেও অধরা সমাধান সূত্র। পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের বেলাগাম মন্তব্য। রাজধানী দিল্লির উপকণ্ঠে আন্দোলনরত কৃষকদের ‘দেশদ্রোহী’ থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করছেন সিকি-আধুলি গোছের বিজেপি নেতারা। কৃষক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ ছড়ানোর কাজেও নেমে পড়েছে বিজেপি’র আইটি সেল। যার ফলে কৃষকরা আরও গোঁ ধরে বসেছেন।
এদিন দুপুরে বিজ্ঞান ভবনে কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগেই শলা-পরামর্শ নিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এদিনের বৈঠক শুরুতে কৃষক সংগঠনগুলোর নেতাদের কাছে তিনি অনুনয়ের সুরে বলেন, ‘আপনারা রাজপথ থেকে আন্দোলন তুলে বাড়ি ফিরে যান। সরকার আপনাদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে নয়া আইন প্রণয়ন করেছে।’ কিন্তু সেই অনুনয়ে চিড়ে ভেজেনি। কৃষক নেতারা পাল্টা কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীকে বলেন, ‘আমরা তখনই ঘর ওয়াপসি করব, যখন আপনারা সর্বনাশা আইন প্রত্যাহার করবেন।’ কিন্তু কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন কৃষি মন্ত্রী। কৃষক নেতারাও পাল্টা বলেন, ‘তাহলে বার বার কেন বৈঠকে ডাকছেন? কৃষি আইন প্রত্যাহার করিয়েই আমরা রণে ক্ষান্ত দেব।’
বৈঠক ভেস্তে যায়। কৃষক নেতাদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীকে হুমকির সুরে বলতে শোনা যায়, ‘বার-বার বৈঠকেও যখন কোনও সমাধান সূত্র বের হচ্ছে না, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেশের শীর্ষ আদালতের উপরে ছেড়ে দেওয়া ভালো। শীর্ষ আদালতই এখন সিদ্ধান্ত নিক।’
যদিও কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর শীর্ষ আদালতের ভয় দেখানো হুমকিকে পাত্তাই দেননি আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনের নেতারা। কৃষক নেতা রাজেশ টিকাইত ও হান্নান মোল্লা মন্ত্রীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন, ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার না করানো পর্যন্ত কারও কথায় আন্দোলন থেকে পিছু হঠব না।’ যদিও আগামী ১৫ জানুয়ারি ফের এক দফা বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে যুযুধান দু’পক্ষই।
নয়া কৃষি আইন নিয়ে গত নভেম্বর থেকেই কার্যত সন্মুখসমরে কেন্দ্র ও দেশের ৪০টি কৃষক সংগঠন। ঘন্টার পর ঘন্টা, দফায়-দফায় বৈঠকেও অধরা সমাধান সূত্র। পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের বেলাগাম মন্তব্য। রাজধানী দিল্লির উপকণ্ঠে আন্দোলনরত কৃষকদের ‘দেশদ্রোহী’ থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করছেন সিকি-আধুলি গোছের বিজেপি নেতারা। কৃষক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ ছড়ানোর কাজেও নেমে পড়েছে বিজেপি’র আইটি সেল। যার ফলে কৃষকরা আরও গোঁ ধরে বসেছেন।
এদিন দুপুরে বিজ্ঞান ভবনে কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগেই শলা-পরামর্শ নিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এদিনের বৈঠক শুরুতে কৃষক সংগঠনগুলোর নেতাদের কাছে তিনি অনুনয়ের সুরে বলেন, ‘আপনারা রাজপথ থেকে আন্দোলন তুলে বাড়ি ফিরে যান। সরকার আপনাদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে নয়া আইন প্রণয়ন করেছে।’ কিন্তু সেই অনুনয়ে চিড়ে ভেজেনি। কৃষক নেতারা পাল্টা কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীকে বলেন, ‘আমরা তখনই ঘর ওয়াপসি করব, যখন আপনারা সর্বনাশা আইন প্রত্যাহার করবেন।’ কিন্তু কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন কৃষি মন্ত্রী। কৃষক নেতারাও পাল্টা বলেন, ‘তাহলে বার বার কেন বৈঠকে ডাকছেন? কৃষি আইন প্রত্যাহার করিয়েই আমরা রণে ক্ষান্ত দেব।’
বৈঠক ভেস্তে যায়। কৃষক নেতাদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীকে হুমকির সুরে বলতে শোনা যায়, ‘বার-বার বৈঠকেও যখন কোনও সমাধান সূত্র বের হচ্ছে না, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেশের শীর্ষ আদালতের উপরে ছেড়ে দেওয়া ভালো। শীর্ষ আদালতই এখন সিদ্ধান্ত নিক।’
More News:
20th January 2021
20th January 2021
20th January 2021
20th January 2021
'তাণ্ডব' নিয়ে তদন্ত করতে মুম্বই পৌঁছাল যোগীর পুলিশ, শুরু জিজ্ঞাসাবাদ
20th January 2021
20th January 2021
ট্রাক্টর র্যালি নিয়ে পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন কৃষকেরা
20th January 2021
20th January 2021
Leave A Comment