ভারতের 'কূটনৈতিক উপহার', প্রতিবেশী প্রতিষেধক
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারতে তৈরি করোনার প্রতিষেধক প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্রগুলিতে পাঠানো হবে। সেইমতো আজই বাংলাদেশে ২০ লক্ষ করোনার প্রতিষেধক পাঠাচ্ছে ভারত। তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশি দেশগুলিতে কূটনৈতিক 'উপহার' পাঠাচ্ছে ভারত। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ভুটান, মলদ্বীপ, নেপাল, মায়ানমার, সেসেলস-এরও।
গত মঙ্গলবারই কেন্দ্রের একটি উচ্চপর্যায়ের মিটিং-এ আলোচনা হয় ভারত তাঁর প্রতিবেশী দেশের পাশে দাঁড়াবে। করোনার মতো অতিমারী রোগকে গোটা বিশ্বথেকে মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর ভারত। তাই নিজের প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলিকে এই উপহার দিতে শুরু করেছে ভারত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা ভারতের একটি কূটনৈতিক চাল। করোনার ভ্যাকসিনের মাধ্যমে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের ক্ষতে প্রলেপ দিতে চাইছে কেন্দ্র।
শুধু ভুটান, মলদ্বীপ, নেপাল, মায়ানমার, সেসেলস নয় আগামী কিছুদিনের মধ্যেই শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও মরিশাসেও করোনার প্রতিষেধক পাঠাবে কেন্দ্র। গতকালের মন্ত্রীসভার আলোচনার ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন জানিয়েছে, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ও প্রতিবেশী দেশগুলিতে করোনার প্রতিষধক পাঠাবে ভারত। আজ থেকেই সেই কাজ শুরু হবে।
প্রতিবেশী দেশগুলির প্রয়োজনে ভারত আগামী বেশকিছুদিন ধরেই এই প্রতিষধক পাঠাবে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ভারতে দেশীয় পদ্ধতিতে বানানো করোনার প্রতিষেধক নিতে ইতিমধ্যেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে প্রতিবেশী ও বন্ধু-দেশগুলি। তাই ভারতের বাইরে করোনার ভ্যাকসিন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
গতকাল ভার্চুয়াল মিটিং-এ কেন্দ্রের একাধিক দফতরের মন্ত্রী, আমলা, এজেন্সির সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে আলচোনায় বসে বিদেশমন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ফার্মাসিউটিক্যাল মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে ব্যাপারটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত শনিবার অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি থেকে গোটা ভারতজুড়ে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। যা গোটা বিশ্বের কাছে বিশেষ নজির গড়েছে।
More News:
রাহুলের 'মত্স্য মন্ত্রক' নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
Leave A Comment