দিল্লিকাণ্ডে মমতার কাঠগড়ায় কেন্দ্র, বিশ্বাসভঙ্গে ‘নারাজ’ বিরোধীরাও
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: এতদিন সহানুভূতি থাকলেও এবার যেন একটু হলেও ভ্রু কুচকোলো রাজনৈতিকমহল। প্রজাতন্ত্র দিবসের সকাল থেকেই কৃষক বিক্ষোভে উত্তপ্ত ছিল দিল্লি। পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক কৃষকের। এই হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরগরম রাজনৈতিকমহল। এদিকে দিল্লির হিংসার ঘটনাটি নিয়ে করা টুইটে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি।
কৃষকদের আন্দোলনের সমালোচনায় মুখর কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি-সহ দেশের বিভিন্ন দলের নেতারা। তার মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫ কোম্পানী আধাসেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
রাহুল গান্ধী টুইটে বলেন “হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আহত যেই হন না কেন, লোকসান আমাদেরই দেশের।” এরপরই কেন্দ্রের উদ্দেশে আবেদনের সুরে তিনি লেখেন, “দেশের স্বার্থে কৃষক-বিরোধী এই আইন প্রত্যাহার করুন।”
রাহুলের পাশাপাশি এই বিক্ষোভের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও। তিনি বলেন ‘ এই হিংসা অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক। প্রথম থেকে এই আন্দোলনকে সমর্থন করলেও এখন এই অনাচারকে প্রশ্রয় দিতে পারিনা । লালকেল্লার মাথায় শুধুমাত্র জাতীয় পতাকাই শোভা পায়, আর কিছু নয়।‘
অন্যদিকে, এই হিংসার ঘটনাকে তীব্র নিন্দা করেছে আম আদমী পার্টিও। কৃষকদের রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের একটি ভুল বলেও জানানো হয় আপের পক্ষ থেকে। প্রশ্ন তোলা হয় আন্দোলনে যুক্ত কৃষক নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও।
এদিন কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নেয় দিল্লির রাজপথ। পুলিস-কৃষক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। এদিন ট্রাক্টর নিয়ে লাল কেল্লা চত্বরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনরত কৃষকরা। পতাকা লাগিয়ে দেন লালকেল্লার চূড়োয়। পুলিশের গুলিতে ট্রাক্টর উল্টে মৃত্যুও হয় এক কৃষকের। সব মিলিয়ে রাজধানীর একাংশ জুড়ে অবনতি হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। রাজধানীর একাংশে বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। স্তব্ধ হয় মেট্রো পরিষেবাও।
তবে রাজনৈতিকমহলের বিশ্বাস ভাঙলেও দেশের আম আদমীর বিশ্বাস আর সহানুভুতিও কি এবার ভেঙে দিল এই হিংসা? প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞমহলে।
Deeply disturbed by worrying & painful developments that have unfolded on the streets of Delhi.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 26, 2021
Centre's insensitive attitude and indifference towards our farmer brothers & sisters has to be blamed for this situation. (1/2)
কৃষকদের আন্দোলনের সমালোচনায় মুখর কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি-সহ দেশের বিভিন্ন দলের নেতারা। তার মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫ কোম্পানী আধাসেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
রাহুল গান্ধী টুইটে বলেন “হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আহত যেই হন না কেন, লোকসান আমাদেরই দেশের।” এরপরই কেন্দ্রের উদ্দেশে আবেদনের সুরে তিনি লেখেন, “দেশের স্বার্থে কৃষক-বিরোধী এই আইন প্রত্যাহার করুন।”
हिंसा किसी समस्या का हल नहीं है। चोट किसी को भी लगे, नुक़सान हमारे देश का ही होगा।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) January 26, 2021
देशहित के लिए कृषि-विरोधी क़ानून वापस लो!
রাহুলের পাশাপাশি এই বিক্ষোভের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও। তিনি বলেন ‘ এই হিংসা অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক। প্রথম থেকে এই আন্দোলনকে সমর্থন করলেও এখন এই অনাচারকে প্রশ্রয় দিতে পারিনা । লালকেল্লার মাথায় শুধুমাত্র জাতীয় পতাকাই শোভা পায়, আর কিছু নয়।‘
অন্যদিকে, এই হিংসার ঘটনাকে তীব্র নিন্দা করেছে আম আদমী পার্টিও। কৃষকদের রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের একটি ভুল বলেও জানানো হয় আপের পক্ষ থেকে। প্রশ্ন তোলা হয় আন্দোলনে যুক্ত কৃষক নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও।
Aam Aadmi Party's statement on today's #FarmersProstests pic.twitter.com/ymwLKfI330
— AAP (@AamAadmiParty) January 26, 2021
এদিন কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নেয় দিল্লির রাজপথ। পুলিস-কৃষক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। এদিন ট্রাক্টর নিয়ে লাল কেল্লা চত্বরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনরত কৃষকরা। পতাকা লাগিয়ে দেন লালকেল্লার চূড়োয়। পুলিশের গুলিতে ট্রাক্টর উল্টে মৃত্যুও হয় এক কৃষকের। সব মিলিয়ে রাজধানীর একাংশ জুড়ে অবনতি হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। রাজধানীর একাংশে বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। স্তব্ধ হয় মেট্রো পরিষেবাও।
তবে রাজনৈতিকমহলের বিশ্বাস ভাঙলেও দেশের আম আদমীর বিশ্বাস আর সহানুভুতিও কি এবার ভেঙে দিল এই হিংসা? প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞমহলে।
Leave A Comment