আইনের প্যাঁচে পিছল শবনমের ফাঁসির দিন
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি, আমরোহা: প্রেমে বাধার কারণে পরিবারের সাত সদস্যকে খুনের দায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত শবনম আলির ফাঁসির দিন ফের পিছিয়ে গেল। মঙ্গলবারই তার নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করার কথা ছিল আমরোহা জেলা আদালতের মুখ্য বিচারকের। কিন্তু এদিন এ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেলের কাছে প্রাণভিক্ষার যে আবেদন জানিয়েছিল শবনম, সেই আর্জি এখনও খারিজ হয়নি। ফলে এখনও রক্ষাকবচ রয়েছে তার। এ কথা শোনার পরেই শুনানি স্থগিত রাখেন বিচারক। ফলে এদিন মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়নি।
কোনও অঘটন না ঘটলে স্বাধীন ভারতে প্রথম মহিলা হিসেবে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার বামনখেড়ির বাসিন্দা শবনম আলি। পরিবারের কাছ থেকে প্রেমে বাধা পেয়ে আজ থেকে প্রায় ১৩ বছর আগে ২০০৮ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে প্রেমিক সেলিম আলির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে নিজের পরিবারের সাত সদস্যকে খুন করেছিলেন শবনম। ওই হত্যাকাণ্ড গোটা দেশকেই স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। প্রথমে খুনের ঘটনা চাপা দিতে ডাকাতির গল্প ফেঁদেছিলেন শবনম। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পড়শিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই শবনমের প্রেম নিয়ে পরিবারের আপত্তির কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তার পরে গ্রেফতার করা হয় শবনম ও তার প্রেমিক সেলিম আলিকে।
পরিবারের সাত সদস্যকে খুনের দায়ে শবনমকে ফাঁসির সাজা শোনায় নিম্ন আদালত। পরে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। দেশের শীর্ষ আদালত ফাঁসির সাজা বহাল রাখার পরেই উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন রাজ্যপাল রাম নাইকের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছিল শবনম। সেই আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ায় পরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেও প্রাণভিক্ষার আর্জি আনায় সে। কিন্তু সেই আর্জিও খারিজ হয়ে যায়।
তার পরেই মথুরা জেলে শবনমের ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু হয়। কয়েকদিন আগে নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝোলানো পবন জল্লাদও ফাঁসির কাঠ পরীক্ষা করেছেন। শুধুমাত্র মৃত্যু পরোয়ানা জারি বাকি ছিল। এদিনই ফাঁসির দিন চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যপালের কাছে নতুন করে জানানো প্রাণভিক্ষার আর্জি এখনও খারিজ না হওয়ায় মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা যায়নি।
কোনও অঘটন না ঘটলে স্বাধীন ভারতে প্রথম মহিলা হিসেবে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার বামনখেড়ির বাসিন্দা শবনম আলি। পরিবারের কাছ থেকে প্রেমে বাধা পেয়ে আজ থেকে প্রায় ১৩ বছর আগে ২০০৮ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে প্রেমিক সেলিম আলির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে নিজের পরিবারের সাত সদস্যকে খুন করেছিলেন শবনম। ওই হত্যাকাণ্ড গোটা দেশকেই স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। প্রথমে খুনের ঘটনা চাপা দিতে ডাকাতির গল্প ফেঁদেছিলেন শবনম। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পড়শিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই শবনমের প্রেম নিয়ে পরিবারের আপত্তির কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তার পরে গ্রেফতার করা হয় শবনম ও তার প্রেমিক সেলিম আলিকে।
পরিবারের সাত সদস্যকে খুনের দায়ে শবনমকে ফাঁসির সাজা শোনায় নিম্ন আদালত। পরে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। দেশের শীর্ষ আদালত ফাঁসির সাজা বহাল রাখার পরেই উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন রাজ্যপাল রাম নাইকের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছিল শবনম। সেই আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ায় পরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেও প্রাণভিক্ষার আর্জি আনায় সে। কিন্তু সেই আর্জিও খারিজ হয়ে যায়।
তার পরেই মথুরা জেলে শবনমের ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু হয়। কয়েকদিন আগে নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝোলানো পবন জল্লাদও ফাঁসির কাঠ পরীক্ষা করেছেন। শুধুমাত্র মৃত্যু পরোয়ানা জারি বাকি ছিল। এদিনই ফাঁসির দিন চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যপালের কাছে নতুন করে জানানো প্রাণভিক্ষার আর্জি এখনও খারিজ না হওয়ায় মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা যায়নি।
More News:
2nd March 2021
2nd March 2021
2nd March 2021
2nd March 2021
2nd March 2021
2nd March 2021
2nd March 2021
2nd March 2021
1st March 2021
Leave A Comment