নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নিখোঁজ হওয়ার দিন মায়ের ফোনে এসেছিল একটি মিসড কল। আর অপরিচিত নম্বর থেকে আসা সেই মিসড কলের সূত্র ধরেই দিল্লি পুলিশের তদন্তকারীরা কিনারা করলেন রাজধানীর নাঙলুইয়ের ১১ বছরের কিশোরীর নিখোঁজ থাকার রহস্যভেদ। খুনের দায়ে ইতিমধ্যেই পাকড়াও করা হয়েছে রোহিত ওরফে বিনোদ নামে ২১ বছরের এক যুবককে। পুলিশি জেরার মুখে নাবালিকাকে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে ঘাতক যুবক। ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে নিখোঁজ নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি অন্যান্য দিনের মতোই সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ স্কুলের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল নাঙলুইয়ের বাসিন্দা ১১ বছরের নাবালিকা। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাড়িতে না ফিরে আসায় খোঁজখবর শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি। পরের দিন মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় থানায় জিডি করে কিশোরীর পরিবার। জিডিতে মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে আশঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। নিখোঁজ কিশোরীর মা জানান, ঘটনার দিন বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে তাঁর ফোনে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে মিসড কল এসেছিল। ওই নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হয়েছে। যদিও অপরিচিত নম্বরের ফোনটি বন্ধ ছিল।
মোবাইল পরিষেবা সংস্থার কাছ থেকে যে নম্বর থেকে ওই মিসড কল এসেছিল তার মালিকের পরিচয় সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। ওই ব্যক্তিকে ধরতে পঞ্জাব ও মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন। শেষ পর্যন্ত ১২ দিন বাদে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ওই মিসড কলের মালিককে পাকড়াও করতে সক্ষম হন। জেরায় রোহিত স্বীকার করে নেয়, নিখোঁজ হওয়া কিশোরীকে অপহরণ করে খুন করে গেবড়া মোরের একটি জায়গায় পুঁতে রেখেছে। ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুনের আগে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল তা নিশ্চিত হতে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।