নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: পড়ুয়ারা যাতে পড়াশুনায় ফাঁকি না দেয়, তার জন্য খানিকটা কঠোর হয়েছিলেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের (New York University) রসায়নের নামী অধ্যাপক মেইটল্যান্ড জোনস (Maitland Jones)। আর সেই কঠোর হওয়ার মূল্য চোকাতে হল অশীতিপর অধ্যাপককে। মধ্যবর্তীকালীন পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগে প্রবীণ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের (New York University) কাছে নালিশ ঠুকেছিলেন পড়ুয়ারা। আর সেই নালিশের প্রেক্ষিতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল রসায়নের নামী অধ্যাপক। পড়ুয়াদের নালিশের ভিত্তিতে জোনসকে (Maitland Jones) চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের (New York University) অধিকাংশ অধ্যাপক।
মার্কিন সংবাদপত্র ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের (New York University) অর্গান কেমিস্ট্রির অধ্যাপক মেইটল্যান্ড জোনস (Maitland Jones) বরাবরই চেয়েছেন, পড়ুয়ারা যাই শিখুক না কেন, তা যেন ভালভাবে রপ্ত করে। তাই ক্লাসে পড়ুয়াদের পড়ানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সিরিয়াস ছিলেন অশীতিপর অধ্যাপক। কিন্তু তাঁর সেই কঠিন শিক্ষকের ভূমিকাই বিপদ ডেকে এনেছে। এক সঙ্গে ৮২ জন পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নালিশ ঠুকেছেন, ‘অ্যাপক জোনস যেভাবে ক্লাস নেন, তা বোধগম্য নয়। সাধারণ পড়ুয়াদের মগজে সহজে তাঁর কথা ঢোকে না। তাছাড়া নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি যথেষ্ট কৃপণ।’ করোনার কালবেলায় নানা ঝুঁকি নিয়ে অনলাইন ক্লাস করলেও তার প্রতিদান মেলেনি বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে পড়ুয়ারা।
যদিও জোনসের ছাত্র বিদ্বেষী মনোভাবের কথা মানতেই চাননি তাঁর সহকর্মীরা। একাধিক সহকর্মী জানিয়েছেন, করোনার কালবেলায় যাতে পড়ুয়াদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়া যায় তার জন্য ৫০০০ ডলার খরচও করেছেন। পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে চাকরি যাওয়ায় কিছুটা হলেও দুঃখ পেয়েছেন অশীতিপর অধ্যাপক। তাঁর কথায়, ‘আমি হারানো চাকরি আর ফিরে পেতে চাই না। তবে চাই, আমার ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা যেন অন্য কারও ক্ষেত্রে না ঘটে।’