আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক বিরল ঘটনার সাক্ষী চিনের সাংঘাই। ৭০ বছরের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সকালে তাঁকে চিকিৎসকেরা দেখতে আসেন। বছর ৭০-য়ের ওই প্রবীণ কোনওরকম সাড়া শব্দ না করায় চিকিৎসকেরার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বাভাবিকভাবে করোনায় মৃতের ক্ষেত্রে যা করণীয়, হাসপাতালের কর্মীরা সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দেন। ‘মৃত’ ব্যক্তিকে একটি হলুদ ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মর্গে। হাসপাতালের কর্মীরা পরেছিলেন পিপিই কিট। হলুদ ব্যাগ একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যান মর্গে।
গাড়ি তখন মাঝপথে। বস্তায় বন্দি ‘লাশ’ নড়াচড়া করতে শুরু করে। পথচলতি মানুষের সেটা চোখে পড়লে তারা ওই গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করেন। হাওয়া বেগতিক বুঝে গাড়ির চালক গাড়ি ঘুরিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দেয়। ৭০ বছরের ওই করোনা আক্রান্তকে তার জন্য বরাদ্দ বিছানায় পৌঁছে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমন অবাক করা ঘটনা। যা দেখে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছে।
সাংহাই-সহ চিনের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া চিন সরকার নতুন করে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে। আর সেই বিধিনিষেধের ধাক্কায় দেশবাসীর জীবন ওষ্ঠাগত।নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাল দেখা দিয়েছে। মিলছে না জরুরি ওষুধপত্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমন বহু ঘটনা, যা দেখে নেটনাগরিকেরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে এক বৃদ্ধা খাবার চাইছেন। খুব তাড়াতাড়ি করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হবে বলে মনে করছেন না চিনের বাসিন্দারা।