নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ছ বছরের এক শিশুকন্যার অঙ্গদানে নতুন জীবন দেখলেন পাঁচজন।
এই বিরল ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির এমসে। অঙ্গদান করেছেন ছ বছরের একটি ফুটফুটে মেয়ের বাবা। দুষ্কৃতীদের গুলিতে ওই শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। মেয়ের অঙ্গ দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছ বছরের রলি প্রজাপতির বাবা। রলির বাড়ি নয়ডায়। শিশুকন্যার বাবার বয়ান উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের গুলিতে রলি গুরুতর জখম হলে পরিবারের লোকেরা দ্রুত তাঁকে দিল্লির এমসে ভর্তি করেন। আঘাত এতটাই গুরুতর যে ভর্তি করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফুটফুটে মেয়েটি কোমায় চলে যায়। চিকিৎসকেরা শিশুকন্যাটিকেক সুস্থ করে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান। তাদের চিকিৎসাকে ব্যর্থ প্রমাণ করে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে।
এমসের নিউরো সার্জন ডা. দীপক গুপ্তা জানিয়েছে, ‘মাত্র সাড়ে ছ বছরের রলিকে গত ১৭ এপ্রিল এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় ওর ব্রেন ডেথ হয়ে গিয়েছিল। ওর মাথায় গুলি লাগে। আমরা ওই শিশুকন্যাকে সুস্থ করে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাই। একে বয়স কম, তার ওপর আঘাত গুরুতর। চিকিৎসায় কোনওরকম সাড়া দিচ্ছিল না। পরিবারের সঙ্গে কথা বললে পরিবারের সদস্যরা জানায়, তারা তাদের সাড়ে ছ বছরের শিশুকন্যার অঙ্গ দান করতে প্রস্তুত। আমরা চিরকাল ওই পরিবারের কাছে কতৃজ্ঞ থাকব। ফুটফুটে শিশুকন্যার অঙ্গাদানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা পাঁচজন নতুন করে জীবন ফিরে পেয়েছেন। ’
এমনই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লি এমস।