আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিয়ের মাত্র তিন দিন আগে এk মহিলা পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হল ওই মহিলার দাবি, তিনি নিজের গর্ভবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিলেন। এমনকি তাঁর বেবি বাম্পের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি বিগত ৩০ সপ্তাহে। সম্প্রতি TLC ইউটিউব পেজে তার দুঃখ প্রকাশ করে বছর চল্লিশের ওই মহিলা তাঁর কাহিনী জানিয়েছেন।
৪০ বছর বয়সী লিসা অবশ্যই মা হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর একটি ভুল ধারণা ছিল যে এই বয়সে তাঁর মা হওয়া কঠিন। লিসা তার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিনটি খারাপ হতে দেখেছেন। বিয়ের মাত্র তিনদিন আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন লিসা। তিনি দাবি করেছেন, যে তিনি গর্ভাবস্থার একটি সাধারণ লক্ষণ দেখেননি। লিসার দাবি, গর্ভাবস্থায় তিনি কখনও তাঁর স্তনে ব্য়াথা বা বমি বমি ভাব টেন পাননি। তবে তাঁর ওজন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল।
তবে ওই মহিলা এও দাবি করেছেন, যে তার পিরিয়ড দুইবার না হওয়ার পর গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করেছিলেন যা নেতিবাচক আসে। লিসা এটাকে পেরি-মেনোপজের লক্ষণ হিসেবে উপেক্ষা করেছিলেন। তবে এই ঘটনার চার মাস পর যখন লিসার পিরিয়ড হয়নি, সে আবার একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করায়। এই পরীক্ষাও নেতিবাচক আসে। লিসার দাবি, এই ঘটনা তাঁর উগ্বেগ বাড়িয়ে দেয়। এরমধ্য়েই জেসন নামে এক ব্য়ক্তির সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের মাত্র তিনদিন আগে তাঁরা একটি রেস্তোরাঁয় দেখা করতে গিয়েছিলেন। ওই সময়ই তিনি রক্তে ভিজে যান।
লিসার কথায়, ‘আমি হঠাৎ আমার পায়ের মাঝে একটি উষ্ণ অনুভূতি অনুভব করলাম। আসলে এটা ছিল আমার রক্ত’। সে সঙ্গে সঙ্গেই বাথরুমে যায়, এবং রক্ত দেখেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁর হবু স্বামী জেসন সঙ্গে সঙ্গেই লিসাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি ভেবেছিলেন লিসার গর্ভপাত হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করতে গিয়ে অবাক হয়ে যান। তারা একটি আওয়াজ শুনতে পান। এরপরই লিসাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার পর, ডাক্তাররা জানান যে তার গর্ভে প্রায় ২৮ থেকে ৩০ সপ্তাহের একটি ভ্রূণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চিকিৎসকদের দাবি, লিসার অজ্ঞাতে জরায়ুর ভিতর থাকা প্লাসেন্টা ফেটে গিয়েই বিপত্তি হয়েছে। তাই রক্তপাত হয়েছে এবং ব্যাথা অনুভব করছেন ওই মহিলা। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, গর্ভে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের রক্ত সরবরাহ শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যেতে পারতো। যখন প্লাসেন্টা জরায়ু থেকে অকালে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন মহিলাদের ভারী রক্তপাতের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ফলে চিকিৎসকরা তাঁর দ্রুত সিজার করেন। আর অসময়ে শিশুর জন্মের কারণে লিসার পুত্রসন্তানের ওজন ছিল ২ কেজির কম। লিসার কথায়, সন্তান প্রসবের কয়েকঘণ্টা পর তিনি তাঁর বাচ্চাকে দেখেছিলেন। এবং শিশুটির ফুসফুসের সম্পূর্ণ বিকাশ না হওয়া পর্যন্ত নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল।