-273ºc,
Sunday, 4th June, 2023 9:54 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ঠাকুরমা ইন্দিরা গান্ধির অত্যন্ত স্নেহের পাত্র ছিলেন রাহুল গান্ধি। আর ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হলো, ঠাকুরমার মতোই একই পরিণতি ঘটল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির। দুজনেরই সাংসদপদ খারিজ হলো। তবে তফাৎ হলো, ১৯৭৫ সালের ১২ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির সাংসদপদ খারিজ করেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আর নাতি রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ করলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
কেন ইন্দিরা গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ হয়েছিল? ১৯৭১ সালের লোকসভা ভোটে গান্ধি পরিবারের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি থেকে লড়েছিলেন ইন্দিরা। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন জনতা দল নেতা রাজনারায়ণ। হেরে যাওয়ার পরেই ইন্দিরার জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। রাজনারায়ণের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে জিততে সরকারি প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করেছেন ইন্দিরা। এমনকী ভোটারদের ঘুষ দিয়েছেন।
ইন্দিরা ও রাজনারায়ণের হয়ে আইনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন দেশের দুই বিখ্যাত আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ননী পালকিওয়ালা ও শান্তিভূষণ। ১৯৭৫ সালের ১২ জুন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি জগমোহন রায় দিতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধির নির্বাচনকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। ভোটের ফলকে অবৈধ বলে ইন্দিরা গান্ধির সাংসদপদ খারিজ করে দেন। ওই রায়ে গোটা দেশ বিস্মিত হয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের পরেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ইন্দিরা।