আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বয়স মাত্র ২৩। গ্লুকোমা কেড়ে নিয়েছে দুই চোখের দৃষ্টি। তবুও সেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ব্রিটেনে ক্যান্সার গবেষণার উন্নতির জন্য বক্সিংরিংয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২৩ বছরের তরুণ সেরেস। লন্ডনের দ্য কমব্যাট অ্যাকাডেমিতে নিচ্ছে প্রশিক্ষণ। লেভেল টু বক্সিংয়ে একবার জয়ীও হয়েছিল। ঘরে সাজানো মেডেল, দেওয়ালে টাঙানো সার্টিফিকেট।
কেন বক্সিং রিংয়ে আর কেনই বা ক্যান্সার গবেষণার জন্য টাকা তোলার ইচ্ছা নিয়ে ক্ষীণদৃষ্ট সম্পন্ন হওয়ার পরে হাতে গ্লাভস পরার ইচ্ছে? উত্তর দিতে গিয়ে গলা জড়িয়ে আসে সেরেসের। জানায়, ঠাকুর্দা আক্রান্ত হয়েছিল যকৃতের ক্যান্সারে। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না হওয়ায় ঠাকুর্দাকে হারিয়েছি। চায় না,তাঁর মতো আর কেউ তাঁর প্রিয়জনকে হারাক। তাই, এই উদ্যোগ।
খেলায় জয় পরাজয় আছে, সেটা স্বীকার করে নিয়েও সেরেস জানিয়েছে তার কাছে জয় বা পরাজয় বড় কথা নয়। বড় কথা টুর্নামেন্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ক্যান্সার গবেষণায় খরচ করা। আমি আমার প্রতিদ্বন্দ্বীকে ধরাশায়ী করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাব। হেরে গেলেও দুঃখ থাকবে না। কারণ, টুর্নামেন্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ক্যান্সারে আক্রান্তদের চিকিৎসায় খরচ করা হবে। বহু মানুষ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে, এটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।
পরের মাসেই টুর্নামেন্ট। প্রতিদিন প্রশিক্ষণ শিবিরে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করছেন সেরেস। তাঁর এই চেষ্টা দেখে অ্যাকাডেমির সবাই তাঁর জয়ের সাফল্য কামনা করেছে।